সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জের! ১৪ বছরের পুত্রকে নিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। আজ মঙ্গলবার বাড়ির বন্ধ ঘর থেকে পিতাপুত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে মৃতের পরিবারের তরফে মহেশতলা থানায় পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সোমবার রাতে সবার নজর এড়িয়ে ছেলেকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেন পেশায় গাড়িচালক বাবা। ইতিমধ্যে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মৃতদের নাম বাপ্পা নস্কর (৪০) ও তাঁর ছেলে রূপম নস্কর (১৪)। তাঁরা মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানার পর থেকে সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। এমনকী বহুবার ওই মহিলা হাতেনাতে ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে স্থানীয়দের হাতে মারও খেতে হয় তাঁকে। জানা যায়, মাস ছয়েক আগে স্বামী ও পুত্রকে ছেড়ে ওই মহিলা বাপের বাড়ি চলে যান। এরপর থেকে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায় থাকতেন। এর মধ্যেই আজ মঙ্গলবার এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার।
স্থানীয় বাসিন্দা টুসি অধিকারী জানান, সোমবার রাতে বাপ্পা বৃদ্ধ বাবাকে সকালে আসার কথা বলছিলেন। সেই মতো আজ মঙ্গলবার বাপ্পার বাবা আসেন। কিন্তু ছেলেকে বিভিন্ন ভাবে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। এরপর স্থানীয়দের পরামর্শে একটি লাঠি দিয়ে দরজার পর্দা সরালে, ছেলের এবং নাতির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। টুসিদেবীর কথায়, এই ঘটনার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধ বাবা। সেই সময় প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং এলাকার লোকজনই থানায় খবর দেয় বলে জানান টুসি অধিকারী।
অন্যদিকে খবর পেয়েই পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর থেকে বাবা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পরেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। স্ত্রীয়ের কড়া শাস্তির দাবিতে চলে বিক্ষোভ।
