ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: টুইটে বিতর্কিত মন্তব্য কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। সেই মন্তব্যের রেশ টেনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কৈলাসের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার শ্যামবাজারে সভা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সভা থেকেই মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে ৪২টি আসনের মধ্যে যে কোনও একটিতে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। রাত গড়াতেই সেই প্রসঙ্গ টেনে টুইটে অভিষেককে আক্রমণ করে বসেন বিজেপির রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ। দুটি টুইটই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল।
[এবার বিবেকানন্দে আপত্তি ‘বামপন্থী’দের, প্রেসিডেন্সিতে জন্মজয়ন্তী পালনে বাধা]
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার পেজে অভিষেকের চ্যালেঞ্জের বিষয়টি খবরের আকারে কয়েক লাইনে উল্লেখ করা হয়। সেই পেজ শেয়ার করে একটি বিশেষ শব্দ উহ্য রেখেই ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। হিন্দিতেই বলেন, “রাজনীতিমে গলতফেমিয়া লা-ইলাজ হোতি হে। ইনহে মত পালিয়ে শ্রীমান অভিষেক। কিউকি আপনে ঘর কে সামনে তো………(ড্যাস ড্যাস) ভি শের হোতা হে। অর তৃণ তৃণ কা মূল বিখেরতে দের নহি লগেঙ্গে।” এই টুইটে অভিষেককে ট্যাগও করেছেন কৈলাস।
রাত আরও গড়াতে পালটা টুইটেই আক্রমণের জবাব দেন অভিষেক। প্রথমে হিন্দিতে, পরে বাংলায়। কৈলাসের উহ্য রাখা শব্দটিকে অভিষেকও উহ্য রাখেন। একই শব্দ প্রয়োগ করে কৈলাসে পাল্টা লেখেন, “বিলকুল সহি কাহা আপনে, বাত জব ওয়াফাদারিকি হো—- (ড্যাস ড্যাস) সে বড়কর কোই নহি হোতা।” এর পরই সুর চড়িয়ে বাংলা শেখার পরামর্শ দেন কৈলাশকে। বলেন, “অনুরোধ করছি আপনাকে আমার ভাষা বাংলা, আমার রাজ্যের ভাষা বাংলা..যা আপনি এবং আপনার দিল্লির নেতারা পড়তেও জানেন না, বলতেও জানেন না, লিখতেও জানেন না..বাংলা শিখুন তার পর বাংলা দখল করার স্বপ্ন দেখবেন।” নিজের টুইটে কৈলাসের টুইটটি শেয়ারও করেন অভিষেক। এই দুই টুইট নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই সরগরম দুই পক্ষ। বিজেপির তরফে নতুন করে কোনও মন্তব্য করা না হলেও, তৃণমূলের পক্ষ থেকে লাগাতার এ নিয়ে প্রচার চলছে। সকাল থেকে দু’টি টুইট ভাইরাল তো হয়েইছে। তার পরও তৃণমূল, যুব তৃণমূল, তৃণমূল ডিজিটাল সেলের পক্ষ থেকে এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে কৈলাসের বিরুদ্ধে সরব হয়ে।
The post অভিষেক ও কৈলাসের টুইটযুদ্ধে সরগরম রাজনৈতিক মহল appeared first on Sangbad Pratidin.