ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ কলেজে আসা বন্ধ করেছেন। সোমবার ফের মেডিক্যাল কলেজের অনশনরত ছাত্ররা মিছিলের ডাক দিয়েছেন। এই অবস্থায় মেডিক্যালের জট খুলতে এগিয়ে এল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখা। ভিডিও বার্তায় মেডিক্যালের পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন অভিনেতা কৌশিক সেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন। এই আন্দোলন মেনে নিতে চাইছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রাজনৈতিক দল বা মতবাদের তাঁবেদারি করছি না। আন্দোলনকারীদের পাশে আছি।” এর আগে অপর্ণা সেনও আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যের শাসকদলকে একহাত নিয়েছিলেন।
সোমবার মেডিক্যালের পড়ুয়াদের অনশন দ্বাদশ দিনে পড়ল। চিকিৎসক মহল রীতিমতো উদ্বিগ্ন পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কলকাতা শাখার তরফে রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি যেন সুকুমারমতি ছাত্রদের মদত দেওয়া বন্ধ করে। সংগঠনের তরফে সাংসদ ডা. শান্তনু সেন বলেন, ‘‘ছাত্ররা একটি দাবি নিয়ে আন্দোলন অনশন করছে। সেই দাবিকে রাজনৈতিক দলগুলি যদি বাইরে থেকে মদত দেয় তা অত্যন্ত অবাঞ্ছিত। অনভিপ্রেতও বটে।’’
[আরও পড়ুন: নবান্নেই আস্থা, মহামিছিলে নেই চাকরিপ্রার্থীদের দুই মঞ্চ]
শান্তনুবাবুর আরও দাবি, ‘‘একজন চিকিৎসক হিসাবে ওদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। উদ্বিগ্ন সব চিকিৎসক। আইএমএ সংগঠনগতভাবে তাই আমাদের ভাবী ডাক্তারদের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব। কিন্তু এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল যত কম মাথা ঘামায় তত মঙ্গল। হঠাৎ কোনও ছেলের শরীর খারাপ হলে একমাত্র তার পরিবারই বুঝতে পারে কী যন্ত্রণা।’’
এদিকে, সোমবার মেডিক্যালের অনশনরত পড়ুয়ারা ফের মিছিলের ডাক দিয়েছেন। সংগঠনের তরফে অনিকেত কর এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁদের অনশনের জন্য কলেজ অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে কাজ করছেন এটা আসলে উপর মহলের কাছে দেখানো যে তাঁরা মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। এমন পদক্ষেপ অনভিপ্রেত। তাই ফের মিছিল হবে।’’ এদিকে অনশনরত ছাত্রদের পাশে থাকা ছাত্রদের একাংশ এবার এই কর্মসূচির ভবিষ্যৎ নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিমত, অনন্ত কাল ধরে অনশন চলতে পারে না। একটা পথ খুঁজতেই হবে। ছাত্র সংসদও ভোট যেমন করতে হবে, তেমনই লেখাপড়াও করতে হবে। তাই যত দ্রুত সমাধান হয় ততই মঙ্গল।