এটিকে মোহনবাগান –৩ আবাহনী –১
(উইলিয়ামস-৩) (কলিনডার্স)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরু করেছিলেন, শেষটাও করলেন তিনি। ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন ডেভিড উইলিয়ামস। করলেন হ্যাটট্রিক। আর তাঁর হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে ঢাকা আবাহনীকে উড়িয়ে দিল জুয়ান ফেরান্দোর এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। এই ম্যাচ জিতে এএফসি কাপের মূল পর্বের গ্রুপ লিগে চলে গেল সবুজ-মেরুন শিবির। গ্রুপে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে রয়েছে বসুন্ধরা, মাজিয়া এবং গোকুলাম। মঙ্গলবার খেলার ৬ মিনিটে গোল করে খাতা খুলেছিলেন ডেভিড উইলিয়ামস। ৮৬ মিনিটে সেই তিনিই আবাহনীর কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিলেন।
এর আগে শ্রীলঙ্কার ক্লাব ব্লুস্টার এফসি-কে উড়িয়ে দিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। এদিনও ম্যাচ জিততে বেগ পেতে হয়নি সবুজ-মেরুন শিবিরকে। খেলার ৬ মিনিটেই এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। বাঁ দিক থেকে জনি কাউকোর সেন্টার থেকে গোল করে যান উইলিয়ামস। আইএসএলে দ্রুততম গোল করার নজির গড়েছিলেন তিনি। এদিনও তিনি যখন গোলটি করেন, তখনও নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনি আবাহনী। রক্ষণে তাদের রক্তাল্পতা শুরু থেকেই চোখে পড়ছিল।
২৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল এটিকে মোহনবাগানের। এবার ডান দিকের উইং থেকে এল বিষাক্ত সেন্টার। প্রবীর দাসের বাড়ানো বল থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন উইলিয়ামস। দুটো গোলের ক্ষেত্রেই আবাহনীর ডিফেন্সের দুর্বলতা চোখে পড়েছে। অবশ্য প্রথমার্ধে আরও বেশি গোলে এগিয়ে যেতেই পারত এটিকে মোহনবাগান। আবাহনী গোলকিপারকে সামনে পেয়েও গোল করতে পারেননি উইলিয়ামস। হুগো বুমোর কাছ থেকে উইলিয়ামস যখন বলটা পান তখন তাঁর সামনে কেবল আবাহনীর গেলকিপার। সেই যাত্রায় গোল পেয়ে গেলে তখনই হ্যাটট্রিক হয়ে যায় অজি ফুটবলারের। তার ঠিক পরেই লিস্টন কোলাসো নিজে গোল করতে গিয়ে উইলিয়ামসকে বল দেননি। লিস্টনের কাছ থেকে বল না পাওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল ডেভিড উইলিয়ামসকে (David Williams)। বিরতির সময় এটিকে মোহনবাগান ২-০ গোলে এগিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগ, ধৃত বাংলার একাধিক যুবক]
২-০ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় বিরতির পরে আবাহনী যে মরণকামড় দেবে তা জানাই ছিল। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মনবীর সিং সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। ৬১ মিনিটে ড্যানিয়েল কলিনডার্স ব্যবধান কমান আবাহনীর হয়ে। কোস্তারিকার হয়ে বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি।
এই এটিকে মোহনবাগান দারুণ শক্তিশালী। রয় কৃষ্ণা (Roy Krishna) নেই আক্রমণভাগে। সন্দেশ ছিলেন না রক্ষণে। তবুও ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করে যায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধেও একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ফেরান্দোর ছেলেরা। ৭৮ মিনিটে লিস্টন কোলাসো আবাহনীর জালে বল জড়াতে পারেননি। নেমেই গোল করতে পারতেন কিয়ান নাসিরি। কিন্তু আবাহনী গোলকিপারকে সামনে পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি আইএসএল ডার্বির নায়ক। গোলগুলো হয়ে গেলে স্কোরলাইন আরও হৃষ্টপুষ্ট হত এটিকে মোহনবাগানের অনুকূলে। ৮৬ মিনিটে বুমোর ডিফেন্স চেরা পাস থেকে ৩-১ করেন ডেভিড উইলিয়ামস। ঢাকা আবাহনীর গোলকিপার বিপদের গন্ধ পেয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বোকা বানিয়ে হ্যাটট্রিক করেন উইলিয়ামস। স্প্যানিশ ফেরান্দো ও পর্তুগিজ লেমোসের মগজাস্ত্রের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন ফেরান্দোই।
[আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের অন্ধকারে ডুবে পাকিস্তান, জ্বালানির অভাবে থমকে বিদ্যুৎ উৎপাদন]