সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ছেদ পড়ল আফগানিস্তানে চলা রাজনৈতিক লড়াইয়ে। কাবুলের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে হাতে হাত মেলালেন এককালের প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি ও অবদুল্লা অবদুল্লা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ডামাডোলের শেষে রবিবার ক্ষমতা বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘অনুদান স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেব’, করোনা আবহে WHO প্রধানকে হুমকি চিঠি ট্রাম্পের]
জানা গিয়েছে, নয়া চুক্তি অনুযায়ী, তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন অবদুল্লা। কাবুলের শাসনভার চলবে ঘানির নির্দেশেই। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে মঞ্চ ভাগ করতে দেখা যায়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রেসিডেন্ট ঘানি বলেন, “শাসনভার আমরা দু’জনে ভাগ করে নেব। ফলে কারও উপরই তেমন চাপ পড়বে না। আগামী দিনে একতা ও সহযোগিতার বলে আমরা আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপন করতে সক্ষম হব।” এদিন, অবদুল্লা বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা শান্তি, প্রশাসনিক ব্যবস্থার উন্নতি ও মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলি আরও ভালভাবে রক্ষা করতে সক্ষম হব।”
বিশ্লেষকদের মতে, মুখের হাসি থাকলেও চুক্তিটি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে ঘানি শিবিরে। কারণ, তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার নেতৃত্বে থাকছেন অবদুল্লা। যার ফলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর গুরুত্ব বাড়বে। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে রাজধানী কাবুলে দ্বিতীয়বারের জন্য আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি পদে শপথ গ্রহণ করেন ঘানি। একই দিনে অন্য আরও একটি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত করেন আবদুল্লা। তবে আন্তর্জাতিক মহল ঘানির সরকারকেই স্বীকৃতি দেয়। ফলে তাঁকেও বাধ্য হয়ে ঘানির সঙ্গে হাত মেলাতে হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন-তালিবান চুক্তিতে সাময়িকভাবে হলেও শান্তির আস্বাদ পেতে চলেছিল আফগানিস্তান। সেইমতো মাস দুয়েক আগে দেড় হাজার তালিবান জঙ্গির মুক্তিপত্রে স্বাক্ষরও করেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। তবে সমস্ত চেষ্টায় জল ঢেলে ফের হিংসার পথ বেছে নিয়েছে তালিবান। পালটা রণহুঙ্কার দিয়েছেন ঘানিও। সব মিলিয়ে আফগান শান্তিপ্রক্রিয়া কার্যত স্তব্ধ। তারউপর রয়েছে করোনার মার। এহেন পরিস্তিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে যাওয়ায় আশার আলো দেখতে পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: ‘ওবামা অপদার্থ’, শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে বেনজির তোপ ট্রাম্পের]
The post ক্ষমতা বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর ঘানি-আবদুল্লার, আফগানিস্তানে ফিরবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা! appeared first on Sangbad Pratidin.