সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান আছে তালিবানেই। ২০২১ সালে নতুন করে আফগানিস্তান দখল করেই তাদের দাবি ছিল, এটা নতুন তালিবান। কিন্তু অচিরেই দেখা যায় নারী স্বাধীনতা চলে গিয়েছে তলানিতে। এবার দেখা গেল আগ্রাসনের নতুন ছবি। তালিবানের নয়া ফতোয়া, একজন মহিলার উপস্থিতিতে অন্য কোনও মহিলা কোরান পাঠ করতে পারবেন না জোরে জোরে।
তালিবানের এক মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি গত সপ্তাহেই একটি অডিও বিবৃতি দেয়। সেখানেই জানানো হয় নতুন ফতোয়া সম্পর্কে। কিন্তু কেন এমন নিষেধাজ্ঞা? সে প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, একজন মহিলার কণ্ঠস্বর আসলে 'আওড়া'। অর্থাৎ তা গোপন রাখাই শ্রেয়। কখনওই অন্য কারও তা শোনার কথা নয়। এমনকী অন্য মহিলাদেরও।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬-২০০১ সাল ছিল ‘কাবুলিওয়ালার দেশে’র প্রথম তালিবান জমানা। ২০২১ সালে নতুন করে আফগানিস্তান দখল করে জেহাদিরা। ক্ষমতায় আসার পর যদিও তারা দাবি করেছিল এটা তালিবান ২.০, অচিরেই দেখা যায় তা কেবল কথার কথাই। শুরু হয় একই রকমের আগ্রাসন। বিশেষত নারীর স্বাধীনতা একেবারেই চলে যায়। পাশাপাশি অন্যান্য অবদমন তো আছেই। গত আগস্টেই জানা গিয়েছিল, দাড়ি না থাকার ‘অপরাধে’ চাকরি গিয়েছে আফগানিস্তানের ২৮০ জন নাগরিকের। তাছাড়া গত এক বছরে ২১ হাজার ৩২৮টি বাদ্যযন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কয়েক হাজার কম্পিউটার অপরেটরকে অনৈতিক সিনেমা ছড়ানোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সঙ্গীত, বাদ্য, সিনেমার মতো বিনোদনকে ‘হারাম’ বা অনৈতিক তথা অপসংস্কৃতি বলে মনে করে আফগান মৌলবাদী শাসকরা। এদিকে এমাসেই তালিবান জানিয়েছিল, কোনও জীবন্ত বস্তুর ছবি প্রকাশ ইসলামি আইনের পরিপন্থী। তাই সংবাদমাধ্যমে কোনও জীবিত ব্যক্তি ও প্রাণীর ছবি প্রকাশ করা যাবে না। এই মর্মেই নয়া আইন আনছে তারা। আফগানিস্তানের নৈতিকতা মন্ত্রকের তরফে এই ঘোষণা করা হয়।এই পরিস্থিতিতে এবার মহিলাদের জন্য নয়া ফতোয়া জারি করল তারা।