সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের নানা ক্ষেত্রে রমরম করে চলছে এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI)। সমস্ত ক্ষেত্রেই যেকোনোও কাজ হাসিল করে ফেলতে তুখোড় এই নয়া প্রযুক্তি। কিন্তু এই প্রযুক্তির ব্যবহারে সাংঘাতিক বিপদের মধ্যে পড়তে পারেন আমজনতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই ব্যবহারের জেরে বিপন্ন হতে পারে বহু মহিলার সম্মান। কারণ ডিপফেক পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে নিজের অজান্তেই নীল ছবির নায়িকা হয়ে যাচ্ছেন অসংখ্য মহিলারা।
বিষয়টি ঠিক কী? অত্যাধুনিক এআই (Artificial Intelligence) প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিমেষে তৈরি করা যায় বিশেষ ধরনের ভিডিও। ডিপফেক (Deep Fake) প্রযুক্তি ব্যবহার করলে এক ব্যক্তির মুখের অভিব্যক্তি অবিকল একইরকম ভাবে অন্য কারোও মুখে বসিয়ে দেওয়া যায়। অর্থাৎ একটি অভিনীত দৃশ্যে ব্যবহার করা যাবে অন্য কোনও মুখ, যে কিনা আসলে এই অভিনয়টি করেননি। নীল ছবির দুনিয়ায় এই বিষয়টি ডিপফেক পর্ন নামে পরিচিত।
[আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধের সুদানে মৃত পেরল ২০০, সেনাপ্রধানকে ফোনে সংঘর্ষবিরতির বার্তা মার্কিন বিদেশসচিবের]
এই প্রযুক্তির জেরেই বাড়ছে সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে পর্ন প্রস্তুতকারীরা। নীল ছবির একাধিক দৃশ্যে বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মুখ বসিয়ে দিচ্ছে তারা। ফলে এক নজরে দেখে মনে হচ্ছে, আসলে ওই নির্দিষ্ট অভিনেতাই নীল ছবিতে অভিনয় করছেন। জানা গিয়েছে, পর্ন ওয়েবসাইটে তারকাদের সেক্স টেপ হিসাবে এই ভিডিওগুলি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
শুধু বিখ্যাত ব্যক্তিরাই নন, এই পর্ন ভিডিওগুলিতে আচমকা দেখা যেতে পারে সাধারণ মানুষের মুখও। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে প্রত্যেকেরই অসংখ্য ছবি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকে। সেই ছবি ব্যবহার করেও পর্ন ভিডিও তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। আগামী দিনে এই প্রযুক্তি আরও উন্নত হবে বলেই অনুমান। সেই সময়ে ডিপফেক ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা আরও কঠিন হয়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা এআই বিশেষজ্ঞদের।