ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতায় সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সম্মেলন। তাতে যোগ দিতে একদিন আগে কলকাতায় এসেছেন দলের সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে সাক্ষাৎ, লোকসভা ভোটের আগে জোটের সলতে পাকানো। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের কার্যালয়ে গিয়ে অখিলেশ তাঁর সঙ্গে একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেছেন। ভোটের আগে জোটের প্রয়াস শুরু করেছে দুই দল। বৈঠক শেষে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে সপা শিবির থেকে।
বিকেল ৫টায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অখিলেশ যাদবের সাক্ষাতের নির্ধারিত সময় ছিল। সেই অনুযায়ী সমাজবাদী পার্টির (SP)সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি কিরণময় নন্দ-সহ আরও ২ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান মুলায়মপুত্র। সন্ধে ৬টা ১০ নাগাদ বৈঠক শেষ করে বেরন তাঁরা। নীল চাদর দিয়ে অখিলেশ, কিরণময় নন্দদের স্বাগত জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা অখিলেশ ‘দিদি’র জন্য উপহার স্বরূপ নিয়ে এসেছিলেন ক্রিমরঙের স্টিচ করা একটি চাদর। কালীঘাটের পার্টি অফিসে তাঁদের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় হয়।
[আরও পডুন: ‘সংগঠন শক্তিশালী করতে পারিনি’, ক্ষমা চাইলেন সায়নী, মমতার ভর্ৎসনার মুখে একাধিক নেতা]
এরপর রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয় উভয়ের মধ্যে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টি একে অপরকে সমর্থন জুগিয়ে চলবে, এমনই কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যেসব রাজ্যে সমাজবাদী পার্টি লড়বে, সেখানে সংগঠন থাকলে তৃণমূল তাদের সমর্থন করবে। আবার ভিনরাজ্যে তৃণমূলের লড়াইয়ে মিলবে অখিলেশদের সমর্থন।
[আরও পডুন: অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন মমতা, দায়িত্ব বাড়ল সিদ্দিকুল্লা-অরূপের]
এর আগে ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল নেত্রী লখনউ গিয়ে অখিলেশের সমর্থনে সভা করে এসেছিলেন। তারও আগে একুশে বাংলা বিধানসভা ভোটের সময় সমাজবাদী পার্টির তরফে জয়া বচ্চনকে (Jaya Bachchan)পাঠানো হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারের জন্য। ফলে দু’দলের মধ্যে এই পারস্পরিক বোঝাপড়া ছিলই। সেটাই আরও মজবুত হচ্ছে লোকসভা ভোটের আগে। শুক্রবারের বৈঠক থেকে তা যেন আরও স্পষ্ট হল।