সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঁশের ধাঁচে মাটির প্রলেপ পড়ে৷ তারপর শিল্পীর হাতে আকার পায় প্রতিমা৷ সেই প্রতিমার প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে রূপ পায় দেবীর৷ এভাবেই তিল তিল করে গড়ে ওঠে সেই মানুষগুলোর জীবনও৷ প্রতিকুলতাকে হারিয়ে যাঁরা নিজেদের গড়ে তোলে অন্যদের আদর্শ রূপে৷
এমনই এক কাহিনি সেই মেয়েটির৷ নাম জানা যায়নি৷ কারণ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তা উল্লেখ করা হয়নি৷ তবে নাম গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাহিনি৷ মুম্বইয়ের কামাতিপুরাতে এই কাহিনির সূত্রপাত৷ যেখানে জন্ম হয়েছিল কালো মেয়েটার৷ মা আগে বেশ্যাবৃত্তি করলেও, পরে তা ছেড়ে দিয়ে করতেন পরিচারিকার কাজ৷
১০ বছর বয়সে তাঁকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল৷ পতিতাপল্লির কোনও অন্ধকার গলিতে নয়, দিনের আলোয় স্কুল শিক্ষকের হাতে৷ সেদিন বুঝতেও পারেননি কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে৷ পরে যখন জানতে পারেন, ভেঙে পড়েছিলেন৷ পতিতাপল্লির মহিলারাই মায়ের মতো সামলেছিলেন তাঁর ভাঙা মনটাকে৷ ফের উঠে দাঁড়াতে পেরেছেন তাঁদের জন্যই৷
বাবা-মা ফেরত চলে গিয়েছেন কেরলে৷ কিন্তু, তিনি থেকে গিয়েছেন মুম্বইতে৷ এখন নাটকের মাধ্যমে মানুষকে যৌন নিগ্রহ সম্পর্কে সচেতন করে তোলাই তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য৷ রাস্তায় নাটক করতে গিয়ে পুলিশের বাধা পান হামেশা, কিন্তু দমে না গিয়ে ফের নেমে যান রাস্তায়৷ যৌনতা নিয়ে সমাজের গোঁড়ামিতে আঘাত হানতে৷