সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি মাসেই আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে সেনা প্রত্যাহার পর্ব শেষ করার কথা আমেরিকার। কিন্তু কাবুলের দিকে তালিবানের অত্যন্ত ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে আসায় পরিস্থিতি বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে। তাই মার্কিন নাগরিক ও দূতাবাসের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবার আফগানিস্তানে নতুন বাহিনী পাঠাচ্ছে আমেরিকা (America)।
[আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তানে ফৌজ পাঠালে ফল ভাল হবে না’, এবার ভারতকে সরাসরি হুমকি তালিবানের]
সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সূত্রে খবর, আফগানিস্তানে নতুন করে ৩ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে আমেরিকা। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবারই মেরিন কোরের একটি বিশেষ বাহিনী কাবুল পৌঁছে গিয়েছে। বাকি মার্কিন সৈনিকরা রবিবারের মধ্যেই আফগানিস্তান পৌঁছে যাবে। জো বাইডেন সরকারের বিদেশদপ্তর সূত্রে খবর, মার্কিন নাগরিকদের পাশাপাশি আমেরিকায় ভিসার আবেদন মঞ্জুর হওয়া বিদেশিরাও এই সেনা-নিরাপত্তার সুযোগ পাবেন। এই বিদেশিদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকার হয়ে কাজ করা আফগান নাগরিকরাও। মূলত কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেখভালের কাজেই লাগানো হবে ৩,০০০ সেনার নয়া বাহিনীকে। এই বিষয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে তারা (তালিবান) কাবুলকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চাইছে।” আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের নির্দেশে আমেরিকার সেনাকে আফগানিস্তানে কর্মরত অসামরিক কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পর তালিবান শাসন উপড়ে ফেলতে আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে আমেরিকা। তারপর থেকে প্রায় দু’দশক আফগানিস্তানের মাটিতে লড়াই করেছে বিদেশি সেনা। ২০০১-এর অক্টোবরে প্রাথমিক ভাবে আড়াই হাজার আমেরিকান সেনা তালিবান দমন অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন এনডিওরিং ফ্রিডম’। পরবর্তী সময়ে ব্রিটেন-সহ ন্যাটো জোটের বাহিনীও ওই অভিযানে শামিল হয়েছিল। ২০১১-য় আফগানিস্তানের মোতায়েন বিদেশি সেনার সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে দীর্ঘ লড়াইয়ের পরও তালিবানকে শেষ করা যায়নি। এবং যুদ্ধের অর্থনৈতিক চাপের মুখে এবং করোনা মহামারীর মারে বেহাল আমেরিকা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে আফগানিস্তান রয়েছে ৬৫০ জন মার্কিন সৈনিক। আগস্ট মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে তারাও সে দেশহ ছেড়ে চলে যাবে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ফের সেনা পাঠিয়ে আফগান যুদ্ধের সময়সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বাইডেন। এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে।