প্রণব সরকার, আগরতলা: ভোটমুখী ত্রিপুরায় (Tripura) রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে। সোমবার একদিকে মেগা প্রচারের উদ্দেশে উত্তর পূর্বের রাজ্যে পা রাখলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঠিক তার আগে ত্রিপুরায় জনসভা করলেন অমিত শাহ। সভা থেকে বাং-কংগ্রেস জোটকে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি বিজেপির উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। শাহের কথায়, “একসময় ত্রিপুরা উগ্রবাদীদের আখড়া ছিল। গত ৫ বছরে দুই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যকে আমূল বদলে দিয়েছে।” এদিন বাম-কংগ্রেস-তিপ্রামোথাকে নিশানা করলেও তৃণমূলের (TMC) নাম শোনা যায়নি তাঁর মুখে।
সোমবার দুপুরে ত্রিপুরার শান্তিরবাজারে জনসভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে থেকে বিরোধী সিপিএম–কংগ্রেস জোটকে একহাত নেন তিনি। শাহের দাবি,”ত্রিপুরা একসময় উগ্রবাদীদের আখড়া ছিল। গত পাঁচ বছরে দুই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যকে আমুল বদলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মডেল ত্রিপুরাকে বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।” উত্তর-পূর্বের রাজ্য়ের জন্য উন্নয়নের ডালি সাজিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, এমনই দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
[আরও পড়ুন: তুরস্কের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১২০০ পার, ত্রাণ ও প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ভারত]
শাহের কথায়, উত্তর পূর্বাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বদ্ধপরিকর নরেন্দ্র মোদি। আগে উত্তর পূর্বাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের গুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যেত। এখন বিমান এবং রেলের ইঞ্জিনের শব্দ শোনা যায়। তাঁর আরও দাবি, জনজাতিদের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে বিজেপি সরকার। ব্রু শরণার্থী সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দেওয়া। সমৃদ্ধ ত্রিপুরাকে ভোট দেওয়া। তাই ত্রিপুরায় দ্বিতীয়বার বিজেপি সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন শাহ।
বাম-কংগ্রেস জোট নিয়েও তোপ দেগেছেন শাহ। তাঁর কথায়,”সিপিএম জিততে পারবে না জেনেই কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধেছে। তিপ্রামথার সাথে গোপনে সমঝোতা করেছে।” বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতির অভিযোগ, তাদের (বাম-কংগ্রেস) ভোট দেওয়া মানে ত্রিপুরায় হিংসার পরিবেশ তৈরি করা।”
[আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে পিতার জাতি পরিচয়েও মেয়েরা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন, রায় আদালতের]
তবে এদিন জনসভা থেকে তৃণমূলের নাম একবারও নেননি শাহ। ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলতে শোনা যায়নি তাঁকে। এনিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া,”তাদের বিষয় নাম নেবেন কি নেবেন না। মানুষের কথা তাঁর মুখে নেই। ভঙ্গুর সরকারকে ডিফেন্ড করতে দিশাহীন বক্তৃতা দিয়েছেন শাহ। তৃণমূল আশাবাদী। মমতাদিকে ত্রিপুরার মানুষ চাইছেন। পঞ্চায়েত ভোটে প্রবল সন্ত্রাস করে আটকানো হয়েছে।”