সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দই থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর জের। পূর্ব বর্ধমানে আমুলের নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের মিষ্টি দই বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। নির্দেশ না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ও রায়না এলাকায় শ্রাদ্ধবাড়ির খাবার খেয়ে মোট প্রায় দেড়শো জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সকলেরই বমি ভাব-সহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এমনকি পাশের বাঁকুড়া জেলাতেও একইভাবে অসুস্থ হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। পূর্ব বর্ধমান জেলার দুটি ঘটনার পর স্বাস্থ্য দপ্তর মেডিক্যাল টিম পাঠায়। খাবারে বিষক্রিয়া থেকে এই ঘটনা বলে জানতে পারে স্বাস্থ্য দপ্তর। খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জেলার উপ মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক (২) সুবর্ণ গোস্বামী জানান, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল দুই জায়গাতেই আমুলের মিষ্টি দই খাওয়ানো হয়েছিল। দইয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই দই বাঁকুড়ার ‘ইন্ডিয়ান ডেয়ারি প্রোডাক্টস লিমিটেডে’ তৈরি করা হয়েছিল। যার ব্র্যান্ড নেম ‘আমুল মিষ্টি দই’ ও ব্যাচ নম্বর ‘কেপিভি৩৬৫৩’। ওই দইয়ের নমুনার মাইক্রোবায়োলজিক্যাল টেস্ট করানো হয়। তাতে ‘স্টেফাইলোকক্কাস অরাস’ নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত, দিল্লিকেই অগ্রাধিকার মুজিবকন্যার]
উপ মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ওই দই থেকেই পেটের রোগ ছড়িয়েছিল। এর পরই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর আমূলের ওই ব্যাচ নম্বরের দই বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই ব্যাপারে আমুলের মিষ্টি দইয়ের সমস্ত রিটেলার, ডিস্ট্রিবিউটর ও হোলসেলারদের চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাচ নম্বরের আমূল মিষ্টি দই বিক্রি করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্যের ফুড সেফটি কমিশনারকেও এই বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।