রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ফের সমুদ্র সৈকতে কাঁকড়া খেতে গিয়ে বিপত্তি। প্রাণ গেল এক পর্যটকের। এবার ঘটনাস্থল তাজপুর। পর্যটকের প্রাণহানির ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুমামলা রুজু করা হয়েছে। দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
নিহত পর্যটকের নাম সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর থানা এলাকার শুকচর ১৩৯ নরসিংহ দত্ত ঘাট রোডের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারই পরিবার নিয়ে দিঘায় বেড়াতে যান। রবিবার গিয়েছিলেন তাজপুর। সকাল থেকেই ঘোরাঘুরির পর দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে খাওয়াদাওয়া করেন। তারপর সমুদ্রে স্নান করতে নামেন। কাঁকড়া খাওয়ার পর থেকেই শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। বাড়ির লোকজনকে তা জানান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় দিঘা হাসপাতালে। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। দিঘা মোহানা কোস্টাল থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বউবাজারের ফ্ল্যাট ছাড়ার ভাবনা বিধায়ক তাপস রায়ের, আরও ২টি বাড়ি ভাঙার তোড়জোড়]
অনেকেরই সামুদ্রিক মাছে অ্যালার্জি থাকে। কাঁকড়াও সহ্য হয় না অনেকের। এর আগে গত ২১ নভেম্বর দিঘায় বেড়াতে গিয়ে সামুদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয় বেহালার সৌম্যদীপ শিকদারের। তার ঠিক মাসখানেক পরের ঘটনা। বীরভূমের এক তরুণীরও সামুদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয়। এক্ষেত্রেও মৃত্যুর কারণ হিসাবে কাঁকড়ার কথাই উঠে এসেছে। তবে মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই দিঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
বেড়াতে গিয়ে এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে পরিণত হয়েছে বিষাদে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। সকলে মিলে হইহই করে সমুদ্রস্নানে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরার সময় একটা মানুষ নেই। ভাবলেই যেন গলার কাছে কান্না দলা পাকিয়ে উঠছে পরিবারের।