সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর নাম ভাঙিয়ে যা করার করেছে প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এনামুল হককেও চেনেন না। মেয়ে সুকন্যা ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি দিল্লি আসার ঠিক আগে এভাবেই নিজের অবস্থান বদল করলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এতদিন যিনি বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরেই ‘জানি না’, ‘মনে নেই’ বলে এসেছেন, সেই অনুব্রতই হঠাৎ করে ভোলবদল করলেন। কিন্তু কেন?
বুধবার সুকন্যা ও তার আগেরদিন অনুব্রতকে মণীশের মুখোমুখি বসাতে চলেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। গত বছরের নভেম্বরে ইডি আধিকারিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সুকন্যা বলে গিয়েছিলেন, গোটা প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণা নেই। যা করার করেছেন তাঁর বাবা। শুধু তাঁর নামটাই ব্যবহার করা হয়েছে। বাবা যখন যেখানে সই করতে বলেছেন, তিনি শুধু তা করে দিয়েছেন। উলটোদিকে অনুব্রত বলে আসছেন ‘জানি না’, ‘মনে নেই’। এই পরিস্থিতিতে মুখোমুখি জেরার সময় আর তা বলতে পারতেন না অনুব্রত। সেই কারণেই অনুব্রত এবার সায়গলের উপর যাবতীয় দায় চাপাচ্ছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। তাঁর বক্তব্য, “সায়গল যদি এসব কিছু করে থাকে, তা আমি বলতে পারব না।”
[আরও পড়ুন: SSC’র নিয়োগে প্রায় ৩৫০ কোটির দুর্নীতি! শান্তনুর দুই ফোনে ‘সোনার খনি’, আদালতে দাবি ED’র]
শুক্রবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ইডি-র আইনজীবি নীতেশ রাণা জানিয়েছিলেন, আগামী ১১ দিনে ১২ জনকে অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। সেইমতোই সমন পাঠানো হয়েছে সুকন্যা, মণীশদের। সূত্রের খবর দুই ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিট ও রাজীব ভট্টাচার্যকেও ডেকেছে ইডি। পরবর্তীতে তিহার জেলে গিয়ে সায়গল হোসেন, এমানুল হকদের মুখোমুখিও জেরা করা হতে পারে অনুব্রতকে। দেখার শুধু এই লাগাতার জেরায় কী তথ্য সামনে আসে।