রাজা দাস, বালুরঘাট: অর্পিতা ঘোষের (Arpita Ghosh) রাজ্যসভার সাংসদ পদের ইস্তফা ঘিরে জোর চর্চা বালুরঘাটে। স্থানীয় কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে দক্ষিণ দিনাজপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার অর্পিতা ঘোষের অনুগামীদের। এ বিষয়ে কী বক্তব্য তৃণমূল নেত্রীর? সংবাদ প্রতিদিনকে জানালেন সেকথা।
জানা গিয়েছে, গত ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের মাধ্যমে দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষের মনে জায়গা করে নেন নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ। সংস্কৃতি জগতের ব্যক্তিত্ব হিসেবে জেলার সংস্কৃতিপ্রবণ মানুষের কাছে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেন। সেবার তিনি তৃণমূলের হয়ে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচিত হন। সাংসদ হওয়ার পর থেকে জেলায় তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়তে থাকে।
তবে ২০১৯ সালে তৃণমূলের (TMC) হয়ে ফের বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হন অর্পিতা ঘোষ। সেবার তিনি অবশ্য পরাজিত হয়েছিলেন। তবে তার রাজনৈতিক সক্রিয়তাকে লক্ষ্য রেখে সেবারই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতেই তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ (Rajya Sabha MP) করা হয়েছিল।
গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় অর্পিতা ঘোষকে আবার জেলার বালুরঘাট বিধানসভা দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এদিকে এই সাত বছরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভিত শক্ত করে ফেলেন ওই নেত্রী। অসংখ্য অনুগামীও তৈরি হয়েছে এখানে। এরমধ্যেই বুধবার রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন অর্পিতা ঘোষ। আর তা নিয়ে চর্চার অন্ত নেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। কেউ বলছেন, পুনরায় তাকে জেলায় কোনও দলীয় পদ দিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন, তাঁকে ত্রিপুরার ভোটের কাজে লাগানো হবে।
কেউ কেউ এও জানাচ্ছেন, ২০২৪ লোকসভার আগে এটি তৃণমূলের কৌশল। উপনির্বাচনে কোনও কেন্দ্রে অর্পিতা ঘোষকে তৃণমূল প্রার্থী করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি অর্পিতা ঘোষ। তিনি বলেন, “আমি সরাসরি সংগঠনের হয়ে কাজ করতে চাই। এ নিয়ে এর আগেই দলকে জানিয়েছিলাম। অবশেষে দল আমার সেই আবেদনে সিলমোহর দিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের ভোটার লিস্টে আমি আগেই নাম তুলেছি। ওই জেলার কাজ করতে পারলে ভাল হয়। তবে দল আমাকে যেখানকার দায়িত্ব দেবে সেটাই আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।”