সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) প্রকোপে মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়াল ব্রাজিলে (Brazil)। আমেরিকার পরে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে হিসেবে ৫ লক্ষের গণ্ডি পেরল তারা। এরপরই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিক্ষোভ। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে দেশের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে (Jair Bolsonaro)। অভিযোগ, তাঁর অপরিণামদর্শিতার ফলই ভুগতে হচ্ছে দেশবাসীকে। প্রথম থেকেই করোনাকে অবহেলা করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই আজ এই অবস্থা ব্রাজিলের।
শনিবার রিও ডি জেনেইরোর রাজপথে দেখা যায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে। তাঁদের হাতে ধরা ছিল পতাকা, ব্যানার। মুখে ছিল স্লোগান। ‘গেট আউট বলসোনারো’ কিংবা ‘বেকারত্ব ও খিদের সরকার’ এই ধরনের কটাক্ষে ভরে ওঠে শহরের আকাশ বাতাস। মিছিলে হাঁটা এক বছর কুড়ির তরুণী ইজাবেলাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ব্রাজিল ভয়াবহ ধাক্কার সম্মুখীন। অথচ এই দেশ টিকাকরণের জন্য এক অনুকরণযোগ্য দেশ হতে পারত। আমাদের এখানে বহু স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু আজ আমাদের এই অবস্থা!’’ একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে ব্রাজিলের ২৬টি প্রদেশের অন্তত ২২টিতেই। সমবেত কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে, ‘‘গদি ছাড়ো গণহত্যাকারী বলসোনারো।’’
[আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে ব্রিটেনে, আশঙ্কা টিকা বিশেষজ্ঞের]
এর আগে যখন ৪ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছিল ব্রাজিল, তখনও দেখা গিয়েছিল এই ধরনেরই বিক্ষোভ প্রতিবাদ। রিও ডি জেনেইরোতে ছেয়ে গিয়েছিল ব্যানারে। যাতে লেখা ‘বলসোনারো আপনার সরকার গণহত্যাকারী’। একই ছবি ফিরে এল আবারও। প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই করোনা নিয়ে তুমুল উদাসীনতা লক্ষ করা গিয়েছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের মধ্যে। এমনকী, করোনা টিকা নিয়েও ব্যঙ্গ করেছিলেন তিনি। কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ভ্যাকসিন নিলে কেউ কুমিরও হয়ে যেতে পারেন।
এদিকে গত শনিবারই সাও পাওলোতে বাইক মিছিল করার সময় কোভিড বিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। খোদ প্রেসিডেন্টকেই জরিমানা করেছিল শহরের প্রশাসন। এর আগে মারানহাও প্রদেশে জনসভা করতে গিয়েও একই ‘অপরাধ’ করেছিলেন তিনি। সেই সময়ও তাঁকে জরিমানা করা হয়।