সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেস যোগ দিয়েছিলেন বলিউডের ‘বিহারীবাবু’ শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। হাত শিবির এখন অতীত। লোকসভা উপনির্বাচনে তিনি আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী। সেই প্রার্থীপদ নিয়ে মুখ খুললেন শত্রুঘ্ন। কংগ্রেস ছেড়েছেন কিনা তা স্পষ্ট না করলেও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সোমবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে শত্রুঘ্ন সিনহা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুমুল প্রশংসা করেন। বলেন, “মমতার হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ। আমি তাঁর হাত শক্ত করার চেষ্টা করছি মাত্র। দেশের কোনে কোনে ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে পৌঁছে দিতে চাই।” উল্লেখ্য, অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন শত্রুঘ্ন। বিজেপির টিকিটে দু’বার লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। দু’বার রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন। পরে দলের সঙ্গে মতভেদের কারণে বিজেপি ছাড়েন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে বিহার থেকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের কাছে পরাজিতও হন। এর পর থেকে রাজনীতিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় তাঁর গলায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে। বাংলায় এসে মমতার সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। এবার সরাসরি তৃণমূলের টিকিটে বাংলায় লড়াই করবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিদেশি আউট, ভারতীয় ইন! এয়ার ইন্ডিয়ার নয়া চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করল টাটা]
অনেকেই বিহারের এই প্রাক্তন সাংসদকে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করছেন। সেই সমালোচনা হেলায় উড়িয়ে দিয়েছেন বিহারীবাবু। উলটে বলছেন, “আমার জন্ম বিহারে। বাংলার প্রতি আমি দুর্বল। বাংলায় একাধিক সিনেমা করেছি আমি। অন্তর্জলি যাত্রার মতো জাতীয় পুরস্কার জয়ী সিনেমার অংশও ছিলাম। আর আসানসোলে শুধু বাঙালি নয়. বিহার-ঝাড়খণ্ড-সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা মানুষেরও বাস।” বারাণসী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভোটে লড়াইয়ের প্রসঙ্গও টেনে এনে বলিউডের অভিনেতা বলেন, “আমি যদি আসানসোলে বহিরাগত হই তাহলে বারাণসী থেকে কেন নির্বাচনে লড়াই করলেন মোদি?”
তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রংশসা করে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ বলেন, “২০২১ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছিল তৃণমূল। সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে মমতার লড়াইয়ের অংশ হতে পেরে গর্বিত।” কংগ্রেস কি ছেড়ে দিলেন তিনি? এ প্রসঙ্গে শত্রুঘ্নর সাফাই, “দেশের কল্যাণ করতে হলে মানুষকে নতুন এবং ভাল বিকল্প বেছে নিতেই হয়। আর বর্তমানের বিভেদমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে মমতা তো সফল।”