জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিতর্কে জড়াল বনগাঁর বিজেপি (BJP) সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নাম। তাঁর বিরুদ্ধে “খুন ও অ্যাসিড হামলার হুমকি” দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আর এই অভিযোগ আনলেন তাঁরই পরিবারের সদস্য তথা প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মধুপর্ণা ঠাকুর জানান, তিনি নিজের বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁকে খুন এবং অ্যাসিড হামলার হুমকি দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। এরপরই সাংবাদিকদের সামনে শান্তনু এবং আরেক প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভও উগরে দেন। বলেন, “সম্প্রতি মেলার মাঠে গিয়েছিলাম। ওই মেলা মা-ই আয়োজন করান। কিন্তু মেলায় নাগরদোল বসতে দেওয়া হচ্ছে না। ওখানে শান্তনু ঠাকুর আমাকে হুমকি দেন, ঘরে চলে যা। তা না হলে লোক ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলবে। সূর্যের মুখ দেখতে পারবি না। মার্ডার হয়ে যাবি। নিজের ঘরেই আমি নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। যে কোনও সময় যা কিছু করতে পারে। ওদের কাছে গুন্ডা তো রয়েইছে। ঠাকুর বাড়িতেও থাকতে দেবে না বলছে। ২ তারিখের পর দেখে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। ” এর সঙ্গেই জানান মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরও হুমকি দিয়েছেন তাঁকে।
[আরও পড়ুন: বাংলার মন পেতে ভারচুয়াল প্রচার, মমতা-অভিষেককে ব্যঙ্গ করে গান বাঁধল বিজেপি]
এই বিষয়ে প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুরের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই শান্তনু ঠাকুর এর পরিবার তাঁর উপর মানসিক অত্যাচার করছে। এরপরই এই অত্যাচারের বিচারও চান তিনি। এদিকে, এই ব্যাপারে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, “যে গাছ মাটি থেকে উপড়ে গেছে সেই গাছে আর ফল ফলবে না। সেই গাছ লাগিয়ে আর কোন লাভ নেই। এইসব কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মানুষের কাছে সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য এসব বলা হয়েছে। ওইসব অভিযোগ শুধু মিথ্যেই নয়, এটা সিমপ্যাথি আদায়ের একটা পরিকল্পনা। আমি ভোটে জেতার আগে পর্যন্ত উনি আমার সঙ্গে অনেক কিছুই করেছেন। আমি ঠাকুরবাড়ির একজন প্রতিনিধি। আমার উপরে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে জেল পর্যন্ত খাটিয়েছেন। সাংসদ হওয়ার পরে আমি উনার বিরুদ্ধে কোনও মিথ্যে অভিযোগ তুলেছি কিনা তা ঠাকুরনগরের মানুষ সাক্ষী। এসব অপপ্রচার শুধু নয়। রাজনৈতিক লাভ আদায়েরও চেষ্টা।”