সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর (Jahangirpuri) হিংসা, অশান্তির পর দেশব্যাপী উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। পাথরবাজি, লুঠপাট, দাঙ্গা-হাঙ্গামায় জড়িত সন্দেহভাজন, অভিযুক্তদের বাড়ি বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পুরসভার পদক্ষেপ নিয়েও শোরগোল চলছে। খোদ সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করে বাড়ি ভেঙে দেওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিতে হয়েছে। বিজেপি-বিরোধীদের দাবি, বেছে বেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিশানা করে তাদের বাড়িঘর ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাল্টা শাসক দলের তরফে অভিযুক্তদের জঙ্গি সংশ্রবের দাবি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তারা বেআইনি ভাবে জমি দখল করে বাড়ি করেছে।
এর মধ্যেই সরাসরি না বললেও ঘুরিয়ে গন্ডগোলের জন্য সংখ্যালঘুদের দিকে আঙুল তুলে বিতর্কে জড়ালেন কুস্তিগীর বিজেপি নেত্রী ববিতা ফোগত (Babita Phogat)। তিনি টুইট করেছেন, “সকলেই জানেন, কোন সমাজের লোকজন দেশে দাঙ্গায় উসকানি দেয়! ২০১৪-র কমনওয়েলথ গেমসে সোনা (Commonwealth Games Gold) পাওয়া মেয়ে লিখেছেন, হিন্দু সমাজ কখনও দাঙ্গা করে না। কোন সমাজ দাঙ্গায় ইন্ধন দেয়, প্রত্যেকে জানে। তাদের পরিচয় সবাই জানে। একসময় ছিল উমর খালিদ, শারজিল ইমাম, তাহির হুসেনরা, এখন ওদের জায়গা নিয়েছে আনসার, সালিম, ইমাম শেখ, দিলশাদ, আহিদ, আসলামরা।”
[আরও পড়ুন: আগাম নোটিস ছাড়াই উচ্ছেদ! সুপ্রিম নির্দেশে বন্ধ জাহাঙ্গিরপুরীর বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ]
ববিতা দিল্লিতে সরকার চালানো আম আদমি পার্টিকে জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসায় মদত দেওয়ায় অভিযুক্ত করেছেন। তাদের অপরাধী, দুষ্কৃতীদের দলও বলেন। আক্রমণ করেন কংগ্রেসকেও। শাহিনবাগের আন্দোলনের সময়ও এটা প্রমাণিত হয়েছে, তদন্ত শেষে সবই সামনে এসেছে বলে দাবি করে টুইট করেন, “জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার তদন্ত হলেও এটাই বেরিয়ে আসবে।”
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমালোচনা করে জেএনইউয়ের সমাজবিরোধী, শাহিনবাগ ও জাহাঙ্গিরপুরীর দাঙ্গাবাজদের সঙ্গেও তাঁর মাখামাখি আছে দাবি করেন ববিতা। এই সম্পর্কের কী নাম! এমন কটাক্ষও করেন। ববিতা টুইট করেন, “কাশ্মীরে হিন্দুদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, সেটাই এখন দিল্লির হিন্দুদের সঙ্গে হচ্ছে। তখন কংগ্রেস মুখ বুজে ছিল, এখন কেজরিওয়ালও তাই। তখন কংগ্রেস পাথরবাজদের সঙ্গে ছিল, আজ যেমন কেজরিওয়াল দাঙ্গাবাজদের সঙ্গে!” প্রসঙ্গত, উত্তর দিল্লি পুরসভা আজ সকালে হিংসাকবলিত জাহাঙ্গিরপুরীতে জবর দখল উচ্ছেদ অভিযানে একাধিক বাড়ি ভেঙে দেয়। তবে সু্প্রিম কোর্টের আদেশে তা স্থগিত হয়ে যায় বেলার দিকে।