ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মাসকয়েক আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তবে ঘাসফুল শিবিরে কোনও পদ পাননি তিনি। শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক। বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয় দু’জনের। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা বলেন। তৃণমূলের টিকিটে ফের জিতিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দেন।
২০১৯ সালে দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। দলবদলের পরই সক্রিয়ভাবে কাজও শুরু করেছিলেন তিনি। তবে দলের একাংশ কোনওদিনই ভালভাবে গ্রহণ করেননি তাঁকে। যদিও তাতে গুরুত্ব দিতে চাননি বিশ্বজিৎবাবু।
পরবর্তীতে একুশের নির্বাচনের আগে বিধায়কের সুর বদলায়। সে বছর বিধানসভার অধিবেশনের একেবারে শেষ দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্ব। ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক। প্রায় ২০ মিনিট কথাও বলেন।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আছড়ে পড়ল ভারতের মিসাইল, কী বলছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক?]
এই সাক্ষাতের কারণে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজিতের দলবদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এরপর তড়িঘড়ি ওই বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) এবং মুকুল রায়রা (Mukul Roy)। যদিও বৈঠকে কী আলোচনা হয়, তা নিয়ে সেই সময় মুখ খুলতে চাননি কেউ।
তারপরেও বিশ্বজিৎ দাসের একাধিক আচরণ দলবদলের জল্পনা জোরাল হয়। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত বছরের আগস্টে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন বিশ্বজিৎ। অভিযোগ করেন, বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সৈনিক’ হিসেবে লড়াই করার আশ্বাসও দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এবার বিধায়ক পদ ছাড়েন কিনা, সেদিকেই নজর সকলের।