সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলিপুর জাজেস কোর্টে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় সাক্ষ্য দিতে শুক্রবার আদালতে যান বৈশাখী। আগামী ৩০ জানুয়ারি বিবাহবিচ্ছেদের মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিনও তিনি আদালতে যাবেন বলেই জানান বৈশাখী।
কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রত্নার মনোমালিন্য শুরু হয় বেশ কয়েক বছর আগে। দু’জনের বনিবনা হচ্ছিল। ২০১৭ সালের শেষদিকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগে সরব হন শোভন। সে বছরের নভেম্বরে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। সেই সময় শোভন ও রত্নার দাম্পত্য অশান্তি নিয়ে মুখ খুলতেও দেখা যায় বৈশাখীকে। পালটা মুখ খোলেন রত্নাও। তারই মাঝে ২০২১ সালের দুর্গাপুজোর দশমীতে বৈশাখীকে সিঁদুরও পরিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের নিয়ে নতুন জল্পনা মাথাচাড়া দেয়।
[আরও পড়ুন: কলকাতার নামী হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে রোগীর শ্লীলতাহানি! তদন্তে পুলিশ]
এখনও চলছে শোভন ও রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা। সেই মামলায় সাক্ষ্য হিসাবে শুক্রবার আলিপুর জাজেস কোর্টে হলফনামা জমা দিলেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “শোভন ও রত্নার দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনের আমি সাক্ষী। অনেক কিছু দেখেছি এবং শুনেছি। সাক্ষী হিসাবে ততটুকুই আদালতকে সাহায্য করেছি।” বৈশাখীর অভিযোগ, এদিনও আদালতে বেশ কয়েকজন লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন রত্না। সাক্ষ্য দেওয়ার আগে ওই লোকজনেরা পেশি শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। তাঁর কথায়, “আমি সত্যের সঙ্গে আছি। আমি যদি বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকি। তাহলে নিশ্চয়ই ঈশ্বররক্ষা করবেন।”
শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিবাহবিচ্ছেদের মামলা অনেকদিন ধরেই পড়ে রয়েছে। আমার ক্রস এক্সামিনেশন শে। হয়েছে। আজ বৈশাখীও এসেছিলেন। তিনি সব কিছু দেখেছিলেন। আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন। আদালত তা গ্রহণও করেছে।” তবে পালটা বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কোনওভাবেই ডিভোর্স দেবেন না।