জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: কোটা বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে। শনিবার থেকে লাগু হয়েছে কারফিউ। যার জেরে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল সীমান্ত বাণিজ্য। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা, পেট্রাপোল সীমান্তে শনিবার সকালে কিছু আমদানি-রপ্তানি হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পণ্যবোঝাই ট্রাকের পর ট্রাক দাঁড়িয়ে সীমান্তে। আনাজ ও অন্যান্য সামগ্রী পচে যেতে পারে, বিপুল লোকসানের আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।
ঘোজাডাঙা ও পেট্রাপোল সীমান্তে থমকে বাণিজ্য। নিজস্ব ছবি।
বাংলাদেশের (Bangladesh) সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ধাক্কা খেতে চলেছে সীমান্ত বাণিজ্য। শনিবার তার প্রভাব দেখা গেল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত (Border) পেট্রাপোল ও ঘোজাডাঙায়। পেট্রাপোল বন্দরে এদিন সকালের দিকে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা স্বাভাবিক থাকলেও বাংলাদেশের যাত্রী প্রবেশ একেবারেই বন্ধ। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে কারফিউর (Curfew) পাশাপাশি বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও। ফলে সীমান্তে পণ্যবোঝাই ট্রাক পৌঁছে গেলেও ওপার থেকে অনলাইনে চালান মিলছে না। ফলে থমকে আমদানি-রপ্তানি। সেইসঙ্গে সড়কপথে সীমান্ত পারাপারও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে জ্বলছে বাংলাদেশ, পরিস্থিতি জানতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে যোগাযোগ ‘সতর্ক’ নবান্নের]
ওপার বাংলায় কোটা বিরোধিতায় ছাত্র আন্দোলন বিশাল রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার জারি করেছে কারফিউ। পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই পরিস্থিতির জেরে ধুঁকছেন পেট্রাপোল বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ী। যাত্রীর অভাবে বন্ধ রয়েছে একাধিক বাস পরিষেবা। বাংলাদেশ থেকে একে একে ফিরে আসছেন ভারতীয় যাত্রীরা।
ছবি: AFP
বাপন দাস নামে এক যাত্রী জানান, আন্দোলনের জেরে চোখের সামনে গুলি চলছে, তা দেখেছেন তিনি। এমনকী বহুতলেও আগুন জ্বলতে দেখেছেন। এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন।
দেখুন ভিডিও: