সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৌলবাদের কবলে বাংলাদেশ! হাসিনা বিদায়ের পর জামাতের কোলে বসে 'চিরশত্রু' পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে মহম্মদ ইউনুস সরকার। বাড়তে থাকা মৌলবাদের আগুনে পাখার বাতাস দিয়ে এবার কট্টর ধর্মীয় নেতা জাকির নায়েককে অভ্যর্থনা জানাতে চলেছে নয়া বাংলাদেশ। ৯ বছর আগে এই জাকিরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে এবার রেড কার্পেটে অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে এই কট্টরপন্থীকে। আগামী ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশে যাচ্ছে জাকির, সেখানে থাকবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পাকিস্তানের পর জাকিরের বাংলাদেশ সফরে কড়া নজর দেশের গোয়েন্দা বিভাগের।
গতবছর পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল জাকির নায়েক। সেখানে তার জন্য পাতা হয় লাল গালিচা। সন্ত্রাসবাদকে মদত যোগাতে পাকিস্তানের নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ধর্মসভার আয়োজন করে সে। লস্কর জঙ্গি মুজাম্মেল ইকবাল হাশমি-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক জঙ্গির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করে এই ধর্মগুরু। তারপর থেকে বহু কিছু ঘটে গিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কোনও সময়েই ভালো ছিল না তা পুরোপুরি বন্ধ হয় পহেলগাঁও হামলার পর। এবার জাকিরের বাংলাদেশ সফর নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
এদিকে হাসিনা বিদায়ের পর পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। আইএসআই-এর মদতে বাংলাদেশে ইসলামি সেনা গঠনের পাশাপাশি শীর্ষ পাক সেনা আধিকারিকদের আনাগোনা ব্যাপক বেড়েছে বাংলাদেশে। যা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না ভারত। এরই মাঝে জাকিরের সফর বাংলাদেশে মৌলবাদকে আরও বেশি করে উসকে দেওয়ার পরিকল্পনা বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। তার সফরের নেপথ্যে পাকিস্তানের ইন্ধনও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যাতে মৌলবাদকে অস্ত্র করে ভারতের উত্তর-পূর্বে অস্থিরতা ছড়ানো যায়।
উল্লেখ্য, কট্টর মৌলবাদের জনক হিসেবে ধরা হয় জাকির নায়েককে। ২০১৬ সালে ঢাকায় হোলি আর্টিশান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার জাকির নায়েক ও তার টিভি চ্যানেলকে নিষিদ্ধ করেছিল। ভয়ংকর এই জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২২ জনের। যার মধ্যে ১৭ জন ছিলেন বিদেশি। এই সন্ত্রাসে যুক্ত এক জঙ্গি দাবি করে, সে জাকির নায়েকের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এই হামলা চালিয়েছিল। জাকিরের বিরুদ্ধে ভারতের রয়েছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। ইউএপিএ ধারায় মামলা চলছে তার বিরুদ্ধে। উসকানিমূলক বক্তৃতার মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রতি নষ্ট করায় সিদ্ধহস্ত এই কট্টর ধর্মগুরু। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছে এই অপরাধী। ভারতের তরফে জাকিরকে প্রত্যর্পণের চেষ্টা করা হলেও তা এখনও সফল হয়নি।
