সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওসমান হাদির মৃত্যুতে জ্বলছে বাংলাদেশ। সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতেই গুলিবিদ্ধ হলেন আরও এক ছাত্রনেতা। মোতালেব শিকদার নামে ওই ছাত্রনেতার মাথায় গুলি লাগে সোমবার। এরপরেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশের বেশকিছু রাজনীতিবিদ। সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন তাঁরা। কেউ চেয়েছেন পুলিশি নিরাপত্তা, আবার কারোর দাবি গানম্যান। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সও চেয়েছেন অনেকে।
অবশ্য ইউনুস সরকার জুলাই যোদ্ধা, সমন্বয়ক, নির্বাচনের প্রার্থী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কয়েকজনকে গানম্যান দেওয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারি গানম্যান পাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন।
এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেছেন, "আজকে শুধু প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার নয়, আজকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। তাই সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "আমি জানি না, এই মুহূর্তে কোন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আছি। আমার বয়স ৭৮ বছর। আজ যে বাংলাদেশ দেখছি, এ বাংলাদেশের স্বপ্ন আমি কোনও দিন দেখিনি।" তিনি বলেন, "আমার স্বাধীনভাবে চিন্তা করার যে অধিকার, আমার কথা বলার যে অধিকার, তার ওপর আবার আঘাত এসেছে।"
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, নিরাপত্তা, গানম্যান অথবা অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন রাজনীতিবিদের আবেদন এসেছে। এই সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেই খোঁজ নিচ্ছেন, কীভাবে আবেদন করতে হয়। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি ২৫ জনের মতো সরকারি আধিকারীক অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। জামাতে ইসলামির আমির শফিকুর রহমানের জন্য গানম্যান ও বাসভবনের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র পুলিশ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমেদ শেখ-সহ অন্যান্যদের জন্য।
