সুকুমার সরকার, ঢাকা: শেষের ক্লাসটি হবে না, তা শুনে ছাত্ররা বাড়ি চলে গিয়েছিল। তারই শাস্তি মিলল পরেরদিন। বাংলাদেশের (Bangladesh) নরসিংদীতে কলেজ অধ্যযক্ষের অমানবিক শাস্তির মুখে পড়ল ১৬ ছাত্র। অ্যালুমিনিয়ামের পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তাকে আটক করার পাশাপাশি সাময়িকভাবে বরখাস্ত (Suspend) করা হয়েছে উপজেলার শিক্ষা বিভাগ।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। নরসিংদীর পলাশ থানা এলাকার সেন্ট্রাল কলেজে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হয়। দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে নিয়মিত ছ’টি বিষয়ে পড়ানো হয়। গত রবিবার শেষ ক্লাসের শিক্ষকরা ক্লাস করাবেন না, এমনই খবর ছড়িয়ে যায়। ফলে অধিকাংশ ছাত্র ক্লাস থেকে বেরিয়ে বাড়ি চলে যায়। তবে তার পরপরই ওই ক্লাসে শিক্ষক উপস্থিত হন এবং পড়ান। সোমবার যথারীতি রুটিন মেনে ক্লাস শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে বেরিয়ে অপহৃত, লাগাতার ধর্ষণের পর বিক্রি করা হল উত্তরপ্রদেশের তরুণীকে!]
কিন্তু দুপুরের দিকেই ঘটে বিপত্তি। সোমবার দুপুর ১২ টা নাগাদ কলেজের একটি ক্লাসরুমে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম আমির হোসেন গাজি। তিনি সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ। পড়ুয়াদের অভিযোগ, তিনি অ্যালুমিনিয়ামের তিনটি পাইপ হাতে নিয়ে ওই শ্রেণিকক্ষে ঢোকেন। জানতে চান, কারা রবিবারের শেষ ক্লাসটিতে অনুপস্থিত ছিল। ১৬ ছাত্র উঠে দাঁড়ালে তাদের একে একে পেটান অধ্যক্ষ।
[আরও পড়ুন: শক্তি কিছুটা হারাল ‘অশনি’, বঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস]
সোহেল নামে এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ‘‘অধ্যক্ষ স্যর ক্লাসে অ্যালুমিনিয়ামের তিনটি পাইপ ও পানি হাতে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওই পাইপগুলো দিয়ে পিটিয়ে ক্লান্ত হলে পানি খেয়ে আবার পিটিয়েছেন। আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে এমন নির্মম আচরণ আশা করিনি।’’ তাদের এভাবে মারধর করায় অভিভাবকদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার রাতেই অধ্যক্ষকে আটক করা হয়। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ওই অধ্যক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, আমির হোসেন গাজিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কলেজটির ১৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়েছে।