সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানিয়ে দিল হাসিনার 'বিদ্বেষপূর্ণ' ভাষণ বাংলাদেশে দেখানো যাবে না। মাত্র কয়েকদিন আগেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার বদলা নিতে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করেছে। এই পরিস্থিতিতেই এবার এমন নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের।
উল্লেখ্য, ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে। রয়েছে আরও নানা অভিযোগও। সরকারি আইনজীবী জিএমএইচ তামিম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, ''শেখ হাসিনা বর্তমানে ট্রাইব্যুনালের তদন্তাধীন একাধিক মামলার আসামি। আমরা ওঁর ঘৃণাভাষণের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি। কারণ এটি আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা হতে পারে বা সাক্ষী এবং আক্রান্তদের ভয় দেখাতে পারে। যদি তাঁর ভাষণগুলির সম্প্রচার করা হলে সাক্ষীদের ট্রাইব্যুনালে আনাই কঠিন হয়ে যাবে।'' যদিও এটা পরিষ্কার নয়, ঠিক কী ধরনের ভাষণকে 'ঘৃণাভাষণ' বলে দাবি করা হচ্ছে এবং কীভাবে এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে।
কয়েকদিন আগেই হাসিনা নিউইয়র্কে তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন ভিডিও লিঙ্কে। অভিযোগ করেছিলেন মহম্মদ ইউনুসই বাংলাদেশে গণহত্যা ঘটিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন হাসিনাই। ২০১০ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ঘটা নৃশংসতার তদন্ত করতে এর গঠন করেন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ব্রিটেনের পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স-এর বহুদলীয় গোষ্ঠী ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর দ্য কমনওয়েলথ’-এর রিপোর্টে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ''আইনকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার সংস্কৃতি অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন। অন্যথায় তা মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তির পক্ষে ভালো হবে না।” বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে নিপীড়নের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বিস্তৃত ভাবে রয়েছে বিস্ফোরক রিপোর্টে। এই পরিস্থিতিতে হাসিনার ঘৃণাভাষণ সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হল। কেবল টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণই নয়, সোশাল মিডিয়া, ইউটিউবের মতো মঞ্চ থেকে হাসিনার 'বিদ্বেষপূর্ণ' বক্তৃতা সরাতেও কথা বলা হবে বলে দাবি করেছেন তামিম।