সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংখ্যালঘু নির্যাতন রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল ইউনুস সরকার। কিন্তু বাংলাদেশে বারবার হিন্দু নির্যাতন ও মন্দির ভাঙার ঘটনা সামনে আসছে। ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে একটি ভিডিও-ও রয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। তাঁর দাবি, প্রতিবেশী দেশের লালমোহন হাটের তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ির ভবতারিণী কালী মন্দির চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। রাধারমণের প্রশ্ন, বাংলাদেশের হিন্দুরা তাহলে এবার কোথায় পূজার্চনা করবেন?
তাঁর পোস্টে দাবি করা হয়েছে, শুক্রবার যখন পুজো করতে পুরোহিত এসে উপস্থিত হন মন্দিরে, তখনই তিনি দেখতে পান দরজা ভাঙা। ভিতরে যেতেই নজরে পড়ে মন্দির থেকে কালীমূর্তি উধাও। নেই সোনার অলঙ্কার, পুজো সামগ্রী, অন্য মূর্তিগুলিও। রাধারমণ লিখেছেন, 'একটিও মূর্তিকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী পুজোর সামগ্রীও। ওরা সব চুরি করে পালিয়েছে। এবার তাহলে বাংলাদেশের কোন প্রাচীন মন্দিরে হিন্দুরা পুজো করতে যাবেন? কীভাবে ধর্মাচরণ করবেন?'
সম্প্রতি বাংলাদেশের একাধিক মন্দিরে হামলা হয়েছে, ভাঙা হয়েছে বিগ্রহ। ময়মনসিং এবং দিনাজপুরে তিনটি মন্দিরের মোট আটটি মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। অধিকাংশ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এমনকী কোনও মামলাও রুজু হয়নি। একটি ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে জেলবন্দি করা হয়েছে। এদিকে হাসিনার পতনের পরেই সংখ্যালঘু শিক্ষক, অধ্যাপকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর খবর আসছিল। মন্দিরে হামলার পাশাপাশি সম্প্রতি কট্টরপন্থীরা তিতুমির কলেজের প্রিন্সিপাল শিপ্রা রানি মণ্ডলকে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের মন্দিরে হামলার দুটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মুখপাত্র রাধারমণ দাস। নাটোরের কাশিমপুর শ্মশানকালী মন্দিরের সেবায়েতকে খুনের পরও তিনি পোস্ট করেছিলেন।