সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাত্তর পূর্ববর্তী দুঃস্বপ্ন ফিরতে চলেছে বাংলাদেশে! পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সাহায্য নিয়ে বাংলাদেশে 'ইসলামিক রিভোলিউশনারি আর্মি' (IRA) তৈরি করছে ইউনুস সরকার। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বরিষ্ঠ আধিকারিক ইউনুস সরকারের পরামর্শদাতা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। এই বাহিনীতে নিয়োগের জন্য দেশের ৭টি ক্যাম্পে ৮৮৫০ জন যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এই প্রশিক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের উপদেষ্টা সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস একদা শত্রু পাকিস্তানের সঙ্গে দহরম মহরম বাড়িয়েছেন। প্রতিবেশী দেশে আইএসআইয়ের সক্রিয়তাও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সূত্রের খবর, এই আইএসআইয়ের উদ্যোগে আইআরএ সদস্যদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর এই তথ্য সামনে আনেন ইউনুসের পরামর্শদাতা। যেখানে তিনি দাবি করেন, এই যোদ্ধাদের মার্শাল আর্ট, আগ্নেয়াস্ত্র, তাইকান্ডো, জুডোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
কিন্তু বাংলাদেশের নিজস্ব সেনা থাকা সত্ত্বেও কেন ইসলামিক যোদ্ধা তৈরি করছেন ইউনুস? সূত্রের খবর, ইউনুস চাইছেন বাংলাদেশ সেনা যেভাবে রয়েছে সেভাবেই থাক। পাশাপাশি সরকার ও আইএসআই-এর অনুগত ধর্মীয় উগ্রপন্থী একটা বাহিনী তৈরি হোক, যারা নির্দেশ পেলে আভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক যে কোনও আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকবে। ইরানের ইসলামিক রিভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের ধাঁচে তৈরি হবে এই বাহিনী। বাংলাদেশে ইসলামি শাসন কায়েম রাখা এবং ইসলামকে কেন্দ্র করে যাতে দেশ পরিচালিত হয় সেদিকে কড়া নজর রাখবে এই কট্টর বাহিনী। শুধু তাই নয়, অতীতের মতো মহিলাদের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সংখ্যালঘুদের শেষ করাই এই সংগঠনের উদ্দেশ্য। ঠিক যেভাবে বাংলাদেশকে সবক শেখাতে রাজাকার বাহিনী তৈরি করেছিল পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে, জামাত ও আইএসআইয়ের আঙ্গুলিহেলনে চলতে থাকা ইউনুস সরকার দীর্ঘদিন ধরেই এই সেনাবাহিনী গঠনের জন্য কাজ করছিলেন। প্রতিবেশী দেশে মৌলবাদের দাপাদাপির মাঝেই এই নয়া বাহিনী গঠনের উপর নজর রাখছে ভারত।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জামাতের দাপাদাপি ভারতের জন্য কিছুটা হলেও অস্বস্তির কারণ। এদের উদ্দেশ্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের গৌরব মুছে বাংলাদেশকে ৭১ পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। অর্থাৎ পাকিস্তানের পদতলে থাকা বাংলাদেশে রূপান্তরিত করা এবং গাজওয়া-ই-হিন্দ বাস্তবায়ন। বাংলাদেশ সেনায় বর্তমানে ১,৬০,০০০ সেনা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, নতুন এই বাহিনীকে সেনার চেয়েও বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাছাড়া পাকিস্তানের স্বার্থ চরিতার্থ করতে ভারতের পূর্বপ্রান্তে বপন করা হবে সন্ত্রাসের বীজ। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাকর্তারা এই প্রশিক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন।
