সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছর পাকিস্তানের কোনও বিদেশমন্ত্রী আসছেন বাংলাদেশে। তার আগে বৈঠকে মিলিত হলেন দুই দেশের বিদেশসচিব। ঢাকার সেই বৈঠক নিয়ে বিবৃতি দিল পাকিস্তান। জানিয়ে দিল, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈঠকটি। আসলে নানা ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে ময়দানে নেমেছে পাকিস্তান। ঢাকা-ইসলামাবাদের ‘আঁতাঁতে’ চিন্তিত ভারতও। তাই গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে দিল্লি।
২০১২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার ঢাকায় এসেছিলেন। এরপর গত ১৫ বছরে আর কোনও পাক বিদেশমন্ত্রীর পা পড়েনি বাংলাদেশে। কিন্তু এখন পদ্মাপারের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চিত্র পুরোটাই বদলে গিয়েছে। একাত্তরের গণহত্যা ভুলে ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশ এখন কাছে টানছে পাকিস্তানকে। শেখ হাসিনার সময় বাংলাদেশ ছিল ‘ভারতবন্ধু’। কিন্তু মহম্মদ ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে সেই সংজ্ঞা বদলে গিয়েছে। এবার পাক বিদেশমন্ত্রীর আগে বুধবার ঢাকায় আসেন পাক বিদেশ সচিব আমনা বালুচ।
কেমন হল বৃহস্পতিবারের হাই ভোল্টেজ বৈঠক? পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছে এবারের বৈঠকটি ছিল দুই বিদেশ সচিবের মধ্যে ষষ্ঠ বৈঠক। এর আগে নিউইয়র্ক, কায়রো, সামোয়া ও জেদ্দায় তাঁরা মিলিত হয়েছিলেন। এবার ঢাকায় মিলিত হলেন তাঁরা। বৈঠকশেষে পাকিস্তান জানিয়েছে, বৈঠকে উভয় দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও কৌশলগত সহযোগিতা-সহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত মত বিনিময় করেছে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের এক ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি দ্রুত চূড়ান্ত করার পাশাপাশি নিয়মিত বৈঠক এবং বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা ও সংযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে। পাকিস্তানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির প্রস্তাবে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে এবং শিক্ষা খাতে আরও গভীর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
