সুকুমার সরকার, ঢাকা: বেনাপোল-পেট্রাপোলের পর এবার ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার (Tripura) কৈলাশহর দিয়ে রপ্তানি করা হল বিপুল পরিমাণ পদ্মার ইলিশ (Hilsa)। এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ত্রিপুরার কৈলাশহরে ১১ হাজার ৭২৫ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে বলে খবর। দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আগে বাঙালির পাতে পদ্মার ইলিশ পড়বে কিনা, সেই সংশয় কাটিয়ে দিল এত পরিমাণ ইলিশ। ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ পুজোর মধ্যে আরও ইলিশ মাছ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ ব্যবসায়ীদের।
ঢাকায় (Dhaka) বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দু’ দফায় ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে মোট ৪৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলেও অনেকেই তা করেনি। এবারও ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেতে শতাধিক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রকে আবেদন করলেও প্রাথমিকভাবে ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পুজোর পরই নয়া জনসংযোগ কর্মসূচি তৃণমূলের! রুটিন মেনে জেলায় জেলায় যাবেন রাজ্য নেতারা]
আগামী ১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপুজো (Durga Puja) শুরু। সাধারণত দুর্গাপুজো উপলক্ষেই ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হয়। ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ২০১৯ থেকে দেশটিতে আবার ইলিশ রপ্তানি চালু করা হয়। ভারতে গতবার রপ্তানি হয়েছিল ১৪০০ টন ইলিশ। তখন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকাই ছিল রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। তবে এবার পুজোর পর নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে ৭ অক্টোবর। তাই এবার রপ্তানি বেশি হবে বলে আশা করা হয়েছে। রপ্তানির সময়সীমা বাড়ানোরও চিন্তা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: টিটাগড় বিস্ফোরণ: ব্যক্তিগত আক্রোশেই স্কুলে বোমা প্রাক্তন ছাত্রদের, গ্রেপ্তার ৪]
গত ৯ সেপ্টেম্বর জারা এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে কৈলাশহরের ব্যবসায়ী আবদুল মুহিত প্রতি কেজি ৮ ডলার মূল্যে বাংলাদেশি ১৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৮০০ টাকায় ২ হাজার কেজি বাংলাদেশি ইলিশ রপ্তানি করেছেন। এছাড়া সেপ্টেম্বরে আরও কয়েকটি দিন রপ্তানি করা হয়েছে ইলিশ। সব মিলিয়ে গত এক সপ্তাহে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ত্রিপুরার কৈলাশহরে মোট ১১ হাজার ৬৭৫ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই পথে আরও ইলিশ রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।