সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারকীয়তার শেষ নেই দ্বেষের বাংলাদেশে (Bangladesh Unrest)! হিংসার আগুনে পুড়ে আগেই মৃত্যু হয় বিএনপি নেতার তিন বছরের শিশুকন্যা। ঘটনায় গুরুতর আহত হন আর দুই মেয়ে। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার গভীর রাতে মৃত্যু হল বিএনপি নেতার বড় মেয়েরও। যা খবর, নেতার আরেক শিশুকন্যার অবস্থাও সঙ্কটজনক। নৃশংস এই ঘটনার নেপথ্যে উগ্রপন্থী জামাত গোষ্ঠী আছে বলে ইতিমধ্যে দাবি উঠতে শুরু করেছে। ওসমান হাদির মৃত্যুতে যে নতুন করে যে হিংসার আগুন জ্বলে উঠেছে, তাতে আরও উসকানির ধোঁয়া দিচ্ছে জামাত-ই-ইসলামি। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
২০২৪ সালে হাসিনা সরকার পতনের পর স্থায়ী সরকার পেতে আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন হবে। একইসঙ্গে জুলাই সনদ সংস্কারের লক্ষ্যে গণভোটও হবে একসঙ্গে। এই ঘোষণার পরদিনই ঢাকার এক সম্ভাব্য প্রার্থী, জুলাই আন্দোলনের মুখ, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে গুলি করে খুন করে কেউ বা কারা। তারপর থেকেই কার্যত বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা বাংলাদেশ। নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা-সহ গোটা দেশ। এর মধ্যেই চরমতম নিদর্শন দেখা যায় ভবানীগঞ্জ জেলার লক্ষ্মীপুরে।
রাতের অন্ধকারে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শান্তির ঘুমের মাঝেই আগুনে ঝলসে গিয়েছে চার চারটি শরীর। তার মধ্যে ৩ বছরের ফুটফুটে আয়েশার মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ শরীরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আয়েশার দুই দিদি, সালমা আক্তার স্মৃতি আক্তার ও সায়মা আক্তার বীথি, বাবা বেলাল হোসেনকে। দুই মেয়েকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। করা হয় চিকিৎসাও। কিন্তু সব লড়াইয়ের ইতি!
বুধবার রাতে মৃত্যু হয় সালমার। বাংলাদেশের সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সালমার ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এমনকী শ্বাসনালী-সহ গুরুত্বপূর্ণ অংশও পুড়ে যায়। শুধু বিএলপি নেতার বাড়িতেই নয়, দ্বেষের আগুনে পড়তে থাকা একাধিক হিন্দুনেতার বাড়িতেও গত কয়েকদিনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের ছবি সে দেশে।
