সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণহত্যার অপরাধে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। তা নিয়ে এই মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে। মঙ্গলবার দেশজুড়ে আওয়ামি লিগের ডাকে চলছে শাটডাউন কর্মসূচি। হাসিনার প্রতি জনসমর্থন যাতে নতুন করে না তৈরি হয়, তার জন্য অতি সক্রিয় ইউনুসের অন্তর্বর্তী প্রশাসন, পুলিশ। হাসিনাপন্থী যে কোনও কর্মসূচিকেই 'সন্ত্রাস' বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।! সোমবার রায় ঘোষণার পর হাসিনাকে সমর্থন করে ফেসবুক পোস্ট করায় সন্ত্রাসের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মহম্মদ লাভলু মোল্লা শিশির। তাঁর গ্রেপ্তারির পর পড়ুয়ারা সেখানে প্রতিবাদ শুরু করেছেন।
সোমবার হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু মোল্লা। কালো রংয়ের প্রেক্ষাপটে নীল শাড়ি পরা হাসিনার হাসিমুখের একটি ছবি। তাতে লেখা - 'আই ডোন্ট কেয়ার'। তার উপরে লাভলু লিখেছিলেন - জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। এই পোস্টটিকেই সন্ত্রাস ছড়ানোর হাতিয়ার বলে মনে করেছে ইউনুসের পুলিশ। মঙ্গলবার বেলায় লাভলু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাঁর গ্রেপ্তারির খবর জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ওসি মহঃ খালিদ মনসুর। যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অন্য মামলার কথা বলেছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ওসির দাবি, লাভলু মোল্লার ওই ফেসবুক পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম এবং পড়ুয়াদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। তাঁরাই লাভলুকে ধরে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর অভিযোগ যাচাই করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া লাভলু মোল্লার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্রবিরোধী অবস্থান নেওয়ার অভিযোগও ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা দায়ের হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, যদি সাধারণভাবে লাভলু মোল্লার ফেসবুক পোস্ট নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়, তাহলে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা দায়ের কেন? এখানেই ফের ইউনুস প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।
