সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাজধানী ঢাকা (Dhaka)-সহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় দু’দিন ধরে চলছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। বৈশাখের শুরুতেই প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) জনজীবন। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট মহকুমা সংলগ্ন দেশের পশ্চিম জনপদ জেলা চুয়াডাঙায়, ৪২.২ ডিগ্রি। রবিবার আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও ঢাকার উষ্ণতা আরও বাড়বে। আগামী সাত-আট দিনেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এই অবস্থায় যে কোনও সময় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের (Heat wave) সংকট মোকাবিলায় ‘তাপমাত্রাজনিত জরুরি অবস্থা’ জারি করা হতে পারে। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী মহম্মদ শাহাবউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘‘তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। আমরা চিন্তাভাবনা করছি, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যায় কি না। গত দু’দিন শুক্র ও শনিবার অফিস-আদালতে ছুটি ছিল। তাই রবি ও সোমবার দু’দিন ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাপমাত্রা যদি এরপরও বাড়তে থাকে, তবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’ ৫৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন কাটাচ্ছেন রাজধানী ঢাকাবাসী। শনিবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার তা আরও বেড়েছে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: পুকুরে নেমে জীবনকৃষ্ণের মোবাইল খুঁজছেন TMC কর্মীরাই! নেতৃত্বে দলের অঞ্চল সভাপতি, ব্যাপারটা কী?]
১৯৬৫ সালে ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা গত ১৪ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ে চলেছে চুয়াডাঙা। সেখানে তাপমাত্রা উঠেছে ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ২০১৪ সালে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও গরম কমার কোনও লক্ষণ নেই। বরং বেশিরভাগ এলাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে। মাগুরা, চুয়াডাঙা, যশোর, ঝিনাইদহ-সহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির বেশিরভাগ এলাকায় ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে। সেখানে বাতাসের সঙ্গে লু হাওয়া বইছে।
[আরও পড়ুন: তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলা, সোম থেকে শুক্র স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে যে বাতাস প্রবেশ করছে, তাতে কিছুটা জলীয় বাষ্প বয়ে আসছে। এতে বাতাসে আর্দ্রতা (Humidity) বেড়ে যাওয়ায় ঘামও বেড়ে যাবে। রবিবার দিনের বাকি সময় গরম আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ জানিয়েছেন, গরমের ওই তীব্রতা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।