সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহ কাটিয়ে কিছুটা আশার আলো বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে। টানা তিনদিন পর খানিকটা স্থিতিশীল তিনি। কথাও বলেছেন। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখনও সংকটমুক্ত নন বিএনপি নেত্রী। তাঁর শরীরে জটিলতা ক্রমশই বাড়ছে। বিশেষত কিডনির অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। শরীরে অতিরিক্ত জল জমে যাওয়া গত তিনদিন ধরে টানা ডায়ালিসিস চলছিল খালেদা জিয়ার। সাড়াও মিলছিল না। শনিবার শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় কথা বলেছেন ৮০ বছরের নেত্রী। এই পরিস্থিতিতে দলের সমস্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। আপাতত বাংলাদেশে ফেরা হচ্ছে না জিয়াপুত্র তারেক রহমানের।
গত ২৩ নভেম্বর, রবিবার প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার এক নামী বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে তাঁর চিকিৎসা চলছে। একইসঙ্গে ফুসফুস, কিডনি,আর্থ্রাইটিস, চোখের সমস্যা-সহ একাধিক রোগ বাসা বেঁধেছে ৮০ বছরের নেত্রীর শরীরে। তাঁর শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয়েছিল যে দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশজুড়ে বিশেষ প্রার্থনার আবেদন জানানো হয়। এর মাঝে শনিবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নাকি পুত্রবধূ শামিলা রহমানের সঙ্গে সামান্য কথা বলেছেন বিএনপি সুপ্রিমো। তাতে কিছুটা আশা দেখছেন চিকিৎসকরা।
এই পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার কথাও ভাবা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির জানিয়েছেন, এখনই তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সর্বক্ষণ নিয়োজিত মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পক্ষে। যদিও বিমানযাত্রার ধকল সহ্য করতে পারবেন কি না, তা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্র জানায়, সম্ভব হলে তাঁকে লন্ডনের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হবে। অন্যথায় সিঙ্গাপুরের হাসপাতালও হতে পারে বিকল্প। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতির নিরিখে।
