সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিয়তি কী? তাঁকে ফাঁসিকাঠে ঝুলতে হবে নাকি কারাগারের অন্ধকারে কাটবে বাকি জীবনটা? এনিয়ে আগামী ১৩ নভেম্বর রায় শোনাবে আন্তর্জাতিক অপরাধদমন আদালত। ওইদিনই জুলাই বিপ্লবের তিন আসামির বিরুদ্ধেই রায়দান করবেন বিচারকরা। হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লা আল-মামুন। যদিও আইজিপি এই মামলায় নিজের অপরাধ স্বীকার করে 'রাজসাক্ষী' হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিনক্ষণ ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবারই এই মামলার শুনানি শেষ হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। শেষবারের বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন। এর আগে চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনার ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এদিনও আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি চান।
অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল ও চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের পালটা সওয়াল করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। তিনি আবার শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বেকসুর খালাসের পক্ষে যুক্তিস্থাপন করেন। এসবের পর ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায়ের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন বিচারপতিরা। আগামী ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে। এখন প্রশ্ন হল, গণহত্যায় দোষী প্রমাণিত হলে সাজা হিসেবে কী শাস্তি হতে চলেছে মুজিবকন্যার? ফাঁসি নাকি যাবজ্জীবন কারাবাস? এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ভারতের 'রাজনৈতিক আশ্রয়ে' রয়েছেন। তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য বারবার নয়াদিল্লির কাছে আবেদন জানিয়েছে ইউনুসের সরকার। এই পরিস্থিতিতে হাসিনা ঢাকায় পা রাখলেই গ্রেপ্তার হতে পারেন।
