সুকুমার সরকার, ঢাকা: ব্রিটেনে চিকিৎসা শেষে চার মাস পর ঢাকায় ফিরে এলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রীতিমতো রাজকীয় অভ্যর্থনায় তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান দলের নেতা-কর্মীরা। কাতার এয়ারওয়েজের বিশেষ বিমানে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় নেমেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সেই একই বিমানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন দুই পুত্রবধূ জুবেইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান। প্রায় ১৭ বছর পর নির্বাসন কাটিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে স্বদেশে ফিরতে পারলেন তারেক রহমানের স্ত্রী জুবেইদা। আপাতত নিজের বাপেরবাড়ি ধানমন্ডিতে থাকবেন তিনি।
বিমানে খালেদা জিয়ার দুই পুত্রবধূ।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতারের আমিরের ব্যবস্থা করে দেওয়া বিশেষ ফ্লাইটটি খালেদা জিয়াকে নিয়ে অবতরণ করে। বিমানবন্দর সড়ক থেকে তিনি ঢাকার গুলশনে নিজের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় পৌঁছন গাড়িতে। সামনের আসনেই বসেছিলেন খালেদা। পিছনের আসনে দুই পুত্রবধূ। তাঁর দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাস্তার দু’ধারে অপেক্ষায় ছিলেন বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী। বিএনপি চেয়ারপার্সনের ফিরে আসা দেশে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে বলে আশা করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। বিমানবন্দরে সাংবাদিক সম্মেলনে সেকথা জানিয়েছেন তিনি।
মির্জা ফখরুলের কথায়, ''খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিবাদ বিদায় নেওয়ার পর কারাবন্দিত্ব থেকে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৪ মাস চিকিৎসা শেষে আজ দেশে ফিরে এসেছেন। এটা আমাদের জন্য, জাতির জন্য একটা আনন্দের দিন।'' খালেদার বাসভবন 'ফিরোজা'য় রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। বাড়ি ফিরেই ছোট্ট নাতনিকে কোলে তুলে নেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। অনেকদিন পর স্বজনদের কাছে পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। লন্ডনে চিকিৎসার পর আপাতত খানিকটা সুস্থ আশি ছুঁইছুঁই খালেদা। তবে কি এবার ফের সক্রিয়ভাবে তাঁকে রাজনীতিতে দেখা যাবে? বিএনপির মহাসচিবের ইঙ্গিত তেমনই। তবে আপাতত কয়েকদিন বাড়িতে বিশ্রামেই থাকবেন খালেদা জিয়া।
