সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনা সরতেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করছে বিএনপি! ঘন ঘন ইসলামাবাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করছেন খালেদা জিয়ার দলের নেতা-কর্মীরা। হাসিনার সরকারের পতনের নেপথ্যে পাকিস্তানের অঙ্গুলিহেলন ছিল বলেও মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, শুক্রবার ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের অন্যান্য নেতারাও। কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি নেতা আমির খসরু বলেন, "দুদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে, পারস্পরিক সম্পর্ক, শ্রদ্ধা বজায় রেখে একে অপরের সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয় যায়, সেবিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।"
[আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ! সীমান্ত থেকে বিজিবির হাতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি]
বিএনপির এই নেতা আরও উল্লেখ করেন, "বাংলাদেশে এত দিন পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল। এতে কিছু মানুষ লাভবান হয়েছে। সবার জন্য সমান সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতির অবসান ঘটতে চলেছে। এতে দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা করবে।" তবে বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সঙ্গেও আলোচনা করে থাকতে পারেন বিএনপি নেতা। আর হাসিনার অনুপস্থিতিতে বিএনপি-জামাতের মতো দলের সঙ্গে 'জোট' আরও মজবুত করে ঢাকায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে পাকিস্তান। যাতে ভারতের ওপরেও চাপ বৃদ্ধি করা যায়। এখন বাংলাদেশে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ভারত সম্পর্কে এই সরকারের কী মনোভাব বিএনপির থেকে সেটা জানারও চেষ্টা করছে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ব্যাপক গণ আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। এর পিছনে চৈনিক চাল বা পাকিস্তানের হাত দেখেছেন অনেকেই। এদিকে, হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ছাড়াও একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে। সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনাতেও খুনের মামলায় নাম জড়িয়েছে হাসিনার। এছাড়াও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, প্রাক্তন সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি-সহ বহু হাই প্রোফাইল মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামি লিগের বেশিরভাগ নেতা কর্মীই।