সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস বদলের পথে এবার বড়সড় পদক্ষেপ বাংলাদেশের ইউনুস প্রশাসনের। একাত্তরের 'শত্রু'দের আরও কাছে টেনে ভারতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে মরিয়া সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সূত্রের খবর, এবার ঢাকায় দপ্তর খুলতে চলেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তাতে সদ্যই অনুমোদন দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন চত্বরে এই কার্যালয় খোলার সম্ভাবনা। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের সীমান্ত সুরক্ষাকে আরও চাপে ফেলতে বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ। বিশেষত বাংলা-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করতে আইএসআইকে কাজে লাগানোর এই ছক।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আপাতত সে দেশের প্রশাসন চালাচ্ছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। আর তখন থেকেই ইউনুসের পাক-প্রীতি ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে এসেছে। দিন কয়েক আগে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল শাহিদ শামসাদ মির্জা ও তাঁর প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে গিয়েছেন। মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে তাঁরা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ে আলোচনা হয়। এর পরবর্তী সময়ে ঢাকাকে করাচি বন্দর ব্যবহারের অনুমোদন দেয় পাক প্রশাসন। সেই ছিল ঘনিষ্ঠতার প্রকাশ।
এবার জানা গেল, এই 'বন্ধুত্বে'র উপহার হিসেবেই ইসলামাবাদের 'আবদার' রাখলেন ইউনুস। ঢাকায় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কার্যালয় খোলার অনুমোদন দিলেন। সব ঠিক থাকলে ঢাকায় পাক হাই কমিশনারের অন্দরে হবে আইএসআইয়ের দপ্তর। এই সিদ্ধান্ত নয়াদিল্লির পক্ষে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য। ভারতের প্রায় নাকের ডগায় পাক গোয়েন্দাদের উপস্থিতি দেশে গুপ্তচরবৃত্তি, সন্ত্রাসবাদকে ফের উসকে দেবে বলে আশঙ্কা আন্তর্জাতিক মহলের। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষাও কিছুটা চাপের মুখে পড়বে।
