সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন। হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন সেখানে অন্তর্বর্তী শাসন চলছে। স্থায়ী সরকার গড়তে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। সেইমতো প্রস্তুতি চলছে। এবার ভোট নিয়ে ইউনুসের প্রেস সচিব শরিফুল আলম আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে জানালেন, দেশের সংসদ নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে হবে, কোনও শক্তি তা পিছিয়ে দিতে পারবে না। শুক্রবার নোয়াখালির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা জানিয়েছেন শফিকুল আলম।
নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, জাতীয় নির্বাচন সময়মতোই হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবিষয়ে তাদের মত জানিয়েছে। আমরা একে কোনও হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে ভালো, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন।’’ সেইসঙ্গে তাঁর কার্যত হুঁশিয়ারি, জাতীয় নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হবে, তা পিছনোর ক্ষমতা নেই কারও।
২০২৪ সালে সংরক্ষণ বিরোধী গণ-আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয় হাসিনা সরকারকে। চাপের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। সেই আন্দোলনে নারীর ভূমিকা উল্লেখ করে ইউনুসের প্রেস সচিব বলেন, ''স্বৈরাচারীর পতন ও গণ-অভ্যুত্থানে পুরুষ ও নারীরা রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছেন। এখন নারীরা আর পিছিয়ে নেই। সব ক্ষেত্রেই তাঁরা প্রতিনিধিত্ব করছেন।'' শোনা গিয়েছে, আগামী নির্বাচনে সরাসরি প্রার্থী নাও হতে পারেন বিএনপি চেয়ারপার্সন তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বিএনপির তরফে লড়তে পারেন তাঁর ছেলে তারেক রহমান। তবে কি নারীর নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার কথাই পক্ষান্তরে বলতে চাইলেন ইউনুসের প্রেস সচিব?
