সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই হবে নির্বাচন। সেই নির্বাচনে লড়বে না প্রাক্তন শাসক দল আওয়ামি লিগ। এই ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছে ২০২৬ সালের নির্বাচন বয়কট করবেন আওয়ামি লিগের সমর্থকরা। হাসিনার দাবি, লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁর দল আওয়ামি লিগকে সমর্থন করে। তিনি আরও বলেন, 'এরপরে বাংলাদেশে যে সরকার আসবে তার নির্বাচনী বৈধতা থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় তা সম্ভব নয়।' নয়াদিল্লি থেকে এক সাক্ষাৎকারে হাসিনা দাবি করেছেন, 'লক্ষ লক্ষ মানুষ আওয়ামি লিগের সমর্থন করে। বর্তমান অবস্থায় তাঁরা ভোট বয়কট করবেন। কোনও গণতন্ত্রে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।'
হাসিনা জানিয়েছেন, নির্বাচন বয়কট করলেও তাঁর দলের সমর্থকদের অন্য কোনও দলকে সমর্থন করার আহ্বান জানাবেন না তিনি। ৭৮ বছরের নেত্রী জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে, সেই নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি কোনও সরকারের সময়কালে বাংলাদেশে ফিরবেন না তিনি। বাংলাদেশে ১২ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি ভোটার রয়েছে। আওয়ামি লিগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দীর্ঘদিন ধরেই দেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে হাওয়া গরম বাংলাদেশে। হাসিনা সরকার পতনের পর সেখানে আপাতত অন্তর্বর্তী সরকার, যার শীর্ষে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। দেশের অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষমতায় আসার পরই সুযোগ বুঝে একদা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগের সমস্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ফলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল লড়তে পারবে না। কিন্তু লড়াইয়ের ময়দান সহজে ছাড়তে নারাজ আওয়ামি লিগ। নিষিদ্ধ হওয়ার পরও বাংলাদেশ জুড়ে বিক্ষিপ্ত বিভিন্ন কর্মসূচি করছে আওয়ামি লিগ।
