সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, স্বদেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন, নিষিদ্ধ হয়েছে তাঁর দলও। তবু রাজনৈতিকভাবে লড়াইয়ের মানসিকতা অটুট। তাতে এতটুকুও চিড় ধরেনি। আগামী বছর বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিষিদ্ধ শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সেই নিষেধাজ্ঞার পালটা দিয়ে হাসিনা ঘোষণা করেছেন, তাঁর দলকে অংশ নিতে দেওয়া হলে নির্বাচন বয়কট করবে আওয়ামি লিগ। এবার তাঁর দেশে ফেরা প্রসঙ্গেও ফের ইউনুস সরকারকে ঠারেঠোরে বার্তা দিয়ে বললেন, 'দিল্লিতে স্বাধীনভাবেই আছি।' সেইসঙ্গে অবশ্য অতীতে তাঁর পরিবারের উপর আক্রমণ নিয়ে সতর্কতার কথাও জানালেন মুজিবকন্যা।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে উৎখাত হতে হয়েছে দেশের দীর্ঘতম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তাঁর সরকারকে গদিচ্যুত হতে হয়। তারপর তিনি ঢাকা থেকে গোপনে আকাশপথে নয়াদিল্লি আসেন। আপাতত দিল্লির 'রাজনৈতিক আশ্রয়ে' রয়েছেন তিনি। দু'দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, হাসিনাকে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশে হাসিনা পরবর্তী সময়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর হাসিনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গণহত্যার মামলার তাঁর মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন সরকারি আইনজীবী। আগামী ১৩ নভেম্বর রায় জানা যাবে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর তার মাঝেই ফের হুঁশিয়ারি দিলেন শেখ হাসিনা। তাঁর দাবি, আওয়ামি লিগকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দিলে সেই নির্বাচনের বৈধ নয়। বাংলাদেশে আমজনতার স্বাধীনতা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ''দিল্লিতে স্বাধীনভাবেই আছি। তবে আমার পরিবারে যা রক্তাক্ত ইতিহাস রয়েছে, সেকথা মাথায় রেখে প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।'' উল্লেখ্য, নয়াদিল্লির সঙ্গে হাসিনার পরিবারের সুসম্পর্ক নতুন নয়। সেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত দিনগুলিতেও বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছিল তৎকালীন ইন্দিরা গান্ধী সরকার। আজও উভয়ের সম্পর্ক অটুট। পাশাপাশি আওয়ামি লিগের সঙ্গে তাঁর পরিবারের দীর্ঘকালীন সম্পর্ক নিয়ে হাসিনার দাবি, ''আমার পরিবার আওয়ামি লিগে না থাকলেও হবে।''
