সুকুমার সরকার, ঢাকা: পুজোর আগেই বাংলাদেশের (Bangladesh) করতোয়া নদীতে হিন্দু পুণ্যার্থী বোঝাই নৌকা ডুবে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ক্ষত এখনও অনেকটা টাটকা। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের (Chittagaon) কর্ণফুলি নদীতে জাহাজডুবির ঘটনা ঘটল। তাতে ক্যাপটেন-সহ মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছিল হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার চারজনের দেহ ভেসে উঠল নদীর জলে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনা বৃহস্পতিবার সকালের। চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীতে জাহাজডুবির (Ship)ঘটনা ঘটে। একে একে লাশ ভেসে উঠেছে। এখনও নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। কয়েকটি মৃতদেহ জাহাজের কেবিনে আটকে থাকতে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। তাদের খোঁজ চলছে। মঙ্গলবার রাতের দিকে র্যাংকন ওশেনা কোম্পানির মাছ ধরার জাহাজ ‘এফবি মাগফেরাত’কে সি–রিসোর্স’ নামের ডকইয়ার্ডে মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছিল। ডকইয়ার্ডে (Dockyard) ওঠানোর সময়ই তার পাখা খুলে যায়। তারপরই দুর্ঘটনা ঘটে।
[আরও পড়ুন: বুক পেতে নিয়েছিল জঙ্গির জোড়া বুলেট, অস্ত্রোপচার হলেও বাঁচানো গেল না সেনার কুকুর ‘জুম’কে]
জানা গিয়েছে, জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের বয়া ও অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। তাতেই মৃত্যু হয় ক্যাপটেন-সহ ৫ জনের। মৃত ফারুক বিন আবদুল্লাহ (ক্যাপটেন), ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ জহিরুল ইসলাম, প্রধান কর্মকর্তা মহঃ সাইফুল ইসলাম, ডুবুরি মহঃ ফয়সাল ও ডক কর্মচারী রহমত আলি। পরিবারের লোকজন মৃতদেহগুলি শনাক্ত করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: এবার মহারাষ্ট্রে ‘মানুষখেকো’ বাঘ! ১৩ জনকে ‘খুনে’র পর অবশেষে খাঁচাবন্দি হিংস্র পশু]
সবমিলিয়ে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুর্ঘটনার পর বুধবার রাতে জাহাজের ডুবুরি মহঃ ফয়সাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। সদরঘাট নৌ থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ”এফভি মাগফেরাত জাহাজ ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ অপর তিনজনের লাশের খোঁজ এখনও মেলেনি। তাঁদের লাশ ডুবন্ত জাহাজের কেবিনে আটকে থাকতে পারে।”