সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও পরিধি বেড়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের। রবিবার নতুন করে তিনজন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই তিনজনই ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে স্বপ্রতিষ্ঠিত। এবার এই নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। প্রতিবাদে অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্ররা। সেই মতো আজ সোমবার বিকেলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন তিনজন শপথ নেওয়ায় মোট উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চব্বিশে। শপথ নেওয়া নতুন উপদেষ্টারা হলেন, ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। এঁদের মধ্যে ফারুকিকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতদিন এর দায়িত্বে ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বশির উদ্দিন পেয়েছেন বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে এখনও কোনও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আর এই নিয়োগ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও 'জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে'র সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম অভিযোগ সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, 'খুনি হাসিনার তোলাবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছেন। শুধু একটা বিভাগ থেকেই ১৩ জন উপদেষ্টা! অথচ উত্তরবঙ্গের রংপুর, রাজশাহী বিভাগের ১৬টা জেলা থেকে কোনও উপদেষ্টা নেই!'
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বঙ্গভবনের সামনে মশাল মিছিল করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। রবিবার সন্ধ্যাতেই তিনি শপথ নেওয়ার পর বঙ্গভবনের সামনে মশাল মিছিল করেন প্রতিবাদীরা। বিক্ষোভ দেখানোর সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ‘আওয়ামি লিগের উপদেষ্টা মানি না, মানব না’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন। প্রসঙ্গত,বশির উদ্দিন হলেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আকিজ–বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি শেখ আকিজ উদ্দিনের সন্তান। গণপরিষদের এক কর্মী বলেন, আওয়ামি লিগের প্রাক্তন সাংসদ আফিল উদ্দিনের ভাইকে উপদেষ্টা পরিষদে কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। কীসের ভিত্তিতে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে আসা অন্তর্বর্তী সরকারে বশির উদ্দিনের ঠাঁই হলো, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।