সুকুমার সরকার, ঢাকা: কাঁটাতারও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ওই কাঁটাতার টপকে প্রেমের টানে শান্তিপুরের কিশোরী হাজির হল বাংলাদেশের (Bangladesh) ফরিদপুরে। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হলেও শেষ ইচ্ছেপূরণ কিন্তু হল না। বিয়ের পিঁড়িতে বসামাত্র তাতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে কিশোরীকে উদ্ধার করে সংশোধনাগারে (Jail) পাঠানো হয়েছে। বছর একুশের প্রেমিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ঘটনা ফরিদপুর (Faridpur) জেলার বোয়ালমারি উপজেলার। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সেখানেই ছুটে গিয়েছিল নদিয়ার শান্তিপুরের (Santipur) কিশোরী। প্রেমিকের নাম তন্ময় রাজবংশি, তাঁর বয়স ২১ বছর। তন্ময়ের বাড়ি বোয়ালমারি পৌরসভার গুনবহা গ্রামে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে (Facebook) ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তন্ময়ের। স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, এরপর শুক্রবার ওই কিশোরী ভারত থেকে বোয়ালমারিতে, প্রেমিকের বাড়িতে চলে আসে। তন্ময়ের ভগ্নিপতি উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামের বাসিন্দা গোপাল রাজবংশির বাড়িতে ওঠান। সেখানে রাতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। রাত ১১টার দিকে দু’জন বিয়ের পিঁড়িতে বসে।
[আরও পড়ুন: ছিল গগনচুম্বী অট্টালিকা, হল ধুলোর স্তূপ, নিমেষে ধ্বংস নয়ডার টুইন টাওয়ার, দেখুন ভিডিও]
কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই খবর পেয়ে পুলিশ দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে চতুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফ সেলিমুজ্জামান লিটু জানান, ”শুনেছি ভারত থেকে ওই কিশোরী প্রেমের টানে ছুটে আসে। তার বয়স না হওয়ায় এবং ভিসা-পাসপোর্ট না থাকায় পুলিশ দু’জনকে আদালতে পাঠায়।’’
[আরও পড়ুন: একসঙ্গে ভারত-পাক ম্যাচ দেখলে ৫০০০ টাকা জরিমানা, নির্দেশিকা শ্রীনগরের কলেজে]
এ বিষয়ে বোয়ালমারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আবদুল ওহাব বলেন, ”ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানেই মেয়েটি ছুটে এসেছে। তবে কিশোরীর কোনও ভিসা-পাসপোর্ট নেই, আবার বয়সও কম। তাই তন্ময় রাজবংশিকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর ওই কিশোরীকে আদালতের মাধ্যমে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।”