সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হস্টেলের সামনে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে বচসা, সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশের সাভারে। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে রাতভর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, হাতাহাতির জেরে আহত হলেন কমপক্ষে ৫০ জন। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বাস, গাড়িতে। সোশাল মিডিয়ায় নিমেষে ভাইরাল সেসব ভিডিও, ছবি। রাতভর এই ঘটনার জেরে সোমবারও পরিস্থিতি থমথমে। অভিযোগ, এত বড় অশান্তি রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
ঘটনার সূত্রপাত সাভারের ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাডাইস হস্টেলের সামনে থুতু ফেলা নিয়ে। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক পড়ুয়া মোটরবাইকে যেতে যেতে হস্টেলের সামনে থুতু ফেললে তা আরেক পড়ুয়ার গায়ে লাগে। তিনি প্রতিবাদ জানান। বাইক আরোহী সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তখনকার মতো বিষয়টি মিটে গেলেও তার রেশ জিইয়ে ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত ১২টা নাগাদ অস্ত্রশস্ত্র ও দলবল নিয়ে ফের প্যারাডাইস হস্টেলে চড়াও হয় সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। হামলা চালিয়ে হস্টেলের ঘর ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
প্রতিশোধ নিতে পালটা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চড়াও হয়। অভিযোগ, সেখানে প্রশাসনিক ভবন-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ভাঙচুর করে তারা। কম্পিইউটার ও অন্যান্য নথি নষ্ট হয়েছে। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি, বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আতঙ্ক ছড়াতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী। দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। তবে অশান্তি থামাতে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে সাভারের ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিবাদ বেশ পুরনো। সবদিক থেকে তারা একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার লক্ষে প্রায়শয়ই আক্রমণাত্মক আচরণ করে থাকে। তবে রবিবারের ঝামেলা এমন ধ্বংসাত্মক রূপ নেবে, তা ভাবতে পারেননি কেউই। বাংলাদেশের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের তরফে দাবি উঠছে, বিবদমান দু'পক্ষকেই আইনের আওতায় এনে বিচার হোক। অশান্তির জেরে সোমবারও থমথমে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ।
