অভিরূপ দাস: হাসপাতাল সঠিক চিকিৎসা করেনি। সে কারণেই দুঃখে হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে রোগী। আজব এমনই অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনে। যদিও পল্লব দত্তর করা সে অভিযোগকে মান্যতা দেয়নি রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন।
ব্যারাকপুরের (Barrackpore) বাসিন্দা ৩১ বছরের পূষণ দত্ত (নাম পরিবর্তিত) চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন। দিশা আই হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে দিশা আই হাসপাতালের চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সোহম বসাকের কাছে পাঠান। ওই চিকিৎসক যে রোগ নির্ণয় করে তা পছন্দ হয়নি রোগীর পরিবারের। সেকেণ্ড ওপিনিয়ন বা অন্য কোনও চিকিৎসকে দেখাতে চান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: করোনা আনল অন্ধকার, পিতৃহীন সন্তানের জন্য লড়াই শুরু মায়ের]
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, সেকেণ্ড ওপিনিয়নের কথা বলতেই বেঁকে বসে হাসপাতাল। ১৬ জুন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বাইরে থেকে সেকেণ্ড ওপিনিয়ন নিয়ে আসুন। তারপর এখানে চিকিৎসা করব। এর ঠিক ১০ দিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃত পরিবারের বক্তব্য, হাসপাতাল চিকিৎসা করেনি বলেই দুঃখে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে রোগীর। এরপরই তাঁরা রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের কাছে অভিযোগ করে মৃতের পরিবার।
কিন্তু ওই অভিযোগকে মান্যতা দেয়নি রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। এই প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই অভিযোগকে মান্যতা দিইনি আমরা।” গোটা ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে হাসপাতাল। তবে অ্যাপয়েনমন্ট প্রত্যাখান করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে হাসপাতাল। দিশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনও রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না হাসপাতাল থেকে। তবে যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। মৃতের পরিবারের কাছে লিখিত ক্ষমাপত্র পাঠাব আমরা।