shono
Advertisement

পুজোর মরশুমে এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় সাবধান, কার্ড-পিন হাতাতে পারে জালিয়াতরা

জালিয়াতদের মূল টার্গেট বয়স্করা, সতর্ক করছে লালবাজার।
Posted: 09:18 PM Oct 02, 2021Updated: 09:18 PM Oct 02, 2021

অর্ণব আইচ: পুজোর আগেই কলকাতার এটিএমগুলির (ATM) উপর কড়া নজরদারির জন্য ব্যাংকগুলিকে পরামর্শ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। সেই সূত্র ধরেই ব্যাংকের সহযোগিতায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ল বিহার ও হরিয়ানার চার জালিয়াত। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দশটি এটিএম কার্ড ও ৬০ হাজার টাকা। পুলিশের মতে, এটিএমে আসা ব্যাংকের গ্রাহকদের কাছ থেকেই সুকৌশলে হাতিয়ে নিত এই কার্ড। পুজোর আগে যেহেতু এটিএমগুলিতে লেনদেনের সংখ্যা বেড়ে যায়, তাই পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়াও কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলিকে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

শনিবার লালবাজারের এক কর্তা জানান, সাধারণভাবে এটিএমগুলিতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু যে এটিএমগুলিতে নিরাপত্তারক্ষী নেই, সেই এটিএমগুলির মধ্যে একটি বড় অংশই কেন্দ্রীয়ভাবে সিসিটিভিতে ভিতরে নজরদারি চালায়। এই নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। এটিএমে সন্দেহজনক কিছু দেখলেই লালবাজারকে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। পুজোর আগে বা পুজোর সময় (Festive Season) এটিএমগুলিতে বেশি সংখ্যক মানুষ টাকা তুলতে আসেন। সেই সুযোগ নেয় জালিয়াতরা। এটিএম সুরক্ষিত রাখতে প্রত্যেকটি থানাও টহল দেওয়ার সময় এটিএমগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখছে। এমনকী, রাতে টহলের সময় যে পুলিশকর্মীরা এটিএম পরীক্ষা করছেন, সেই প্রমাণ রাখতে তাঁরা এটিএম পরীক্ষার ছবিও তুলে রাখছেন। লালবাজারের গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকেও এটিএমের উপর নজরদারির জন্য বিশেষ টিম কাজ করছে।

[আরও পড়ুন: কলকাতার বাজারে ইঁদুরের বিষ্ঠা ও পোড়া মোবিল মেশানো ভেজাল কালোজিরে, উদ্ধার করল পুলিশ]

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার কেন্দ্রীয়ভাবে সিসিটিভির ফুটেজের উপর নজরদারির সময়ই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে লালবাজারকে জানানো হয়, দক্ষিণ কলকাতার গড়ফার একটি এটিএমের ভিতর সন্দেহজনক কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে। সেই খবর পেয়েই পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে হানা দেয় এটিএমে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়েই ধরা পড়ে তিনজন। তাদের জেরা করে শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে একটি হোটেল থেকে আরও একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে রাকেশ সিং, দেবনন্দন ও মুকেশ কুমার বিহারের গয়ার বাসিন্দা। বাকি একজন নবীন কুমারের বাড়ি হরিয়ানায়।

ধৃতদের কাছ থেকেই দশটি এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়। সেগুলির মধ্যে কয়েকটি গড়িয়ার স্টেশন রোডের একটি এটিএমের। হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৬০ হাজার টাকা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ আধিকারিকরা জেনেছেন, ধৃতরা বিভিন্ন এটিএমের কাছাকাছিই থাকত। তাদের মূল টার্গেট বয়স্করা। টাকা তোলার সময় দূর থেকে পিন নম্বর লক্ষ্য করত তারা। এর পর সাহায্য করার নাম করে এগিয়ে এসে সুকৌশলে নিমেষের মধ্যে এটিএম কার্ডের হাতবদল করে ফেলত। একটি জাল এটিএম কার্ড গছিয়ে দিয়ে আসলটি হাতিয়ে নিত তারা। এর পর তুলতে শুরু করত টাকা। তারা এটিএম কার্ড ক্লোন করতেও সিদ্ধহস্ত বলে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের জেরা করে তারা মোট কত টাকা হাতিয়েছে, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: বাবার মুহূর্তের ভুলে বন্যার জলে ডুবে শিশুর মৃত্যু, শোকের ছায়া উদয়নারায়ণপুরে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement