shono
Advertisement

এবার দলিত ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা, রাজ্যে ধর্ষণ নিয়ে পালটা সরব গেরুয়া শিবির

গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যদের।
Posted: 06:46 PM Oct 04, 2020Updated: 06:53 PM Oct 04, 2020

রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায় ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে হাথরাস কান্ড নিয়ে এ রাজ্যে সরব তৃণমূল। রবিবারও টুইট করে বিজেপিশাসিত রাজ্যে দলিতদের অবস্থা নিয়ে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal CM Mamata Bannerjee)। পালটা বাংলায় ধর্ষণ-নারী নির্যাতন ইস্যুকে সামনে রেখে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণের কৌশল নিল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। রবিবার ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির নিচে বাংলায় নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি করল রাজ্য বিজেপি।

Advertisement

মহিলাদের উপর নির্যাতন ও অত্যাচার বাড়ছে, এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ অবস্থানে সামিল হলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ও সহসভানেত্রী প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। সায়ন্তন বসুর বক্তব্য, “উত্তরপ্রদেশে যদি একটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হয় তাহলে বাংলায় ১০০টি সিবিআই তদন্ত করার দরকার আছে। এখানে সব ঘটনাকে ছোট ঘটনা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।” সায়ন্তন এদিনও বলেন, “উত্তর প্রদেশের ঘটনায় অপরাধীরা ছাড় পাবে না। আমি মনে করি সবার এনকাউন্টার হবে।” বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের অভিযোগ, “বাংলায় ধর্ষণের ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।” এদিন মহিলা মোর্চার উদ্যোগে এই অবস্থান কর্মসূচি ছিল। রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকেই এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, হাথরাসের ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করবে যোগী সরকার। তিনি যোগীজিকে ধন্যবাদ জানান পুলিশ আধিকারিকদের সাসপেন্ড করার জন্য। অগ্নিমিত্রা বলেন, “উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় সরব এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাংলায় নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দেন না কেন?”

[আরও পড়ুন : ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে পঙ্গু হতে দেওয়া যাবে না’, ফের রাজ্য সরকারকে তোপ ধনকড়ের]

এদিন সন্ধেয় পালটা টুইট করে বিজেপিকে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে দলিতদের দুরবস্থার (Dalit Opression) কথা আজ সকলের জানা। আজকের দিনে দাঁড়িয়েও বিজেপির দলিতবিরোধী মানসিকতা জাতি বৈষম্য তৈরি করছে। কিন্তু দলিতদের এই কঠিন পরিস্থিতি বিজেপি ও তাঁর নেতাদের শান্তিতে থাকতে দেবে না।”

[আরও পড়ুন : ‘আপনার ভুলে যাওয়ার রোগ হয়েছে’, মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ অগ্নিমিত্রার]

হাথরাস কান্ড নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বিরোধীরা। এ রাজ্যেও সেই ঘটনাকে ইস্যু করেছে তৃণমূল। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার আইনশৃঙ্খলাকে আগামী বিধানসভা ভোটে অন্যতম প্রধান ইস্যু করে নামার পরিকল্পনা যখন নিয়েছে বিজেপি। তখন যোগী রাজ্যের ঘটনায় তারা স্পষ্টত অস্বস্তিতে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই পালটা বাংলায় নারী নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনাকে প্রচারে তুলে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ তুলে দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুরা তৃণমূলকে আক্রমণের নিশানা করে চলেছেন। অন্যদিকে এদিন গান্ধী মূর্তির নিচে কর্মসূচিতে উপস্থিত সায়ন্তন বসু ইঙ্গিত দিয়েছেন, ৮ অক্টোবর বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান নিরামিষ হবে না। সায়ন্তনের কথায়, নবান্ন অভিযান আমিষ নাকি নিরামিষ হবে সেটা পুলিশ বুঝবে। তাঁর হুঁশিয়ারি, যেখানে যেখানে পুলিশ আটকাবে সেখানে অবরোধ হবে। বিজেপি কর্মীদের বহু গাড়ি পুলিশ আটকে দেবে বলে খবর আছে। এটা হলে রাজ্যে অচলাবস্থা হবে। তার দায় তৃণমূল সরকারকে নিতে হবে। আগাম হুঁশিয়ারি সায়ন্তন বসুর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement