সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হানিমুনে গিয়ে শুকনো বিস্কুট খেয়েই দিন কাটাতে হয়েছে। লকডাউনে আটকে দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা বাংলার এক দম্পতির। ‘মধুচন্দ্রিমা’র মধুর অভিজ্ঞতা তো দূরে থাক, বরং এক দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যেতে হল এই আড়াই মাস। কয়েক লক্ষ টাকা হোটেল ভাড়া, খাবার নেই, পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল বাংলার দম্পতির।
‘মধুচন্দ্রিমা’ বিষয়টা যে কোনও দম্পতির ক্ষেত্রেই ভীষণ স্পেশ্যাল। কত কী-ই না পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু সবক্ষেত্রেই যেরকমটা ভাবা হয়, সেই মতোই হয় কি? না বোধহয়! এরকমই খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল এক বাঙালি দম্পতিকে। হানিমুন করতে গিয়েছিলেন হিমাচলে। প্রথমটায় তা সুখকর হলেও পরবর্তী দিনগুলোতে শুকনো বিস্কুট চিবিয়ে আর জল খেয়েই দিন কাটাতে হয়েছে তাঁদের।
উৎপল আর সৌত্রি, এই বাঙালি দম্পতি পাহাড় ভালবাসেন। তাই মধুচন্দ্রিমার জন্য হিমাচলকেই বেছে নিয়েছিলেন। যখন হানিমুনে গেলেন, তখন লকডাউন কিংবা তার কোনও উচ্চবাচ্যই ছিল না। দিব্যি দিন কাটছিল। কিন্তু এর মধ্যেই দেশে আগমন ঘটে করোনা ভাইরাসের। তড়িঘড়ি জনগণের সুরক্ষার্থে গোটা দেশজুড়ে জারি হয় লকডাউন। অগত্যা হিমাচলের রামপুরের হোটেলের রুমেই তাদের বন্দিদশা শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: ব্রাত্য নন পরিযায়ী শ্রমিকরা, দুর্দিনে পাশে থেকে বার্তা ভারতীয় রেলের]
এক সপ্তাহ, ২ সপ্তাহ করে প্রায় আড়াই মাস কেটে যায়। কিন্তু একের পর এক লকডাউন জারি হওয়ায় কিছুতেই বাড়ি ফিরতে পারেননি এই দম্পতি। ফোনে ফোনেই যোগাযোগ চলছিল। এর মাঝেই এই দীর্ঘদিন ধরে হোটেলে থাকায় ভাড়াও গুণতে হচ্ছে। লক্ষাধিক টাকা ভাড়া দিতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয়েছিল সরকারি চাকুরিজীবি উৎপলকে। বাড়ি থেকেও টাকা পাঠানো শুরু হয় একসময়ে তাঁর অ্যাকাউন্টে। কিন্তু কত দিন আর চলত এইভাবে? শেষে গাড়ি করেই হিমাচল থেকে বাংলায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন উৎপল আর সৌত্রি।
ফেরার সময় রাস্তায় পুলিশি ঝামেলাতেও পড়তে হয় দম্পতিকে। অবশেষে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে যোগাযোগ করতেই সেই সমস্যার সুরাহা হয়।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে সাইকেলে বিহার থেকে ফিরে উত্তরপাড়ায় ব্যাংক ডাকাতির ছক! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
The post হিমাচলে ‘হানিমুন’ করতে গিয়ে দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা, লকডাউনে বিস্কুট খেয়ে দিন কাটল বাঙালি দম্পতির appeared first on Sangbad Pratidin.