বাংলা–৩ হরিয়ানা-০
(টোটন, সুরজিৎ, রবি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাশনাল গেমসে চ্যাম্পিয়ন বাংলা (Bengal Football Team)। গতবারের সন্তোষ ট্রফিতে (Santosh Trophy) রানার্স। ফলে প্রত্যাশার চাপটা হয়তো একটু বেশিই। কিন্তু মাঠে নামতেই সেই সব প্রত্যাশার চাপ উধাও। এবারের সন্তোষ ট্রফির শুরুটা বাংলা করল দারুণভাবে।
প্রথম ম্যাচে হরিয়ানাকে দাঁড়াতেই দিল না বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের (Biswajit Bhattyacharya) দল। স্কোরবোর্ড বলছে বাংলা ৩ হরিয়ানা ০। টোটন দাস খেলার ১৫ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেন বাংলাকে। বাংলার হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন সুরজিৎ হাঁসদা। খেলার বয়স তখন ২৭ মিনিট। তৃতীয় গোলটি অবশ্য আসে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৮ মিনিটে রবি হাঁসদা বাংলাকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন। বাংলার পরবর্তী ম্যাচ ৯ তারিখ। প্রতিপক্ষ দমন ও দাদরা। শনিবার খেলে উঠেই সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে নামছে বাংলা। সূচি নিয়েও অভিযোগ জানাচ্ছেন বিশ্বজিৎ। বলছেন, ”রিকভারির টাইম দিতে হয়। সূচি যা করা হয়েছে, তাতে রিকভারির সময় কম।”
সন্তোষ ট্রফির প্রথম ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন টোটন-সুরজিতরা। গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল হরিয়ানাও। কিন্তু শেষপর্যন্ত কাজের কাজটাই আর করতে পারেনি তারা।
[আরও পড়ুন: আজ আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ ওড়িশা, বদলা ভুলে জয়ে চোখ স্টিফেনের]
কোলাপুরের মাঠ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বাংলা কোচ। ইদানীং ফুটবলমাঠে হরিয়ানার বিরুদ্ধে খুব একটা সাক্ষাৎ হয় না বাংলার। তাই প্রতিপক্ষকে নিয়ে বেশি কিছু ভাবার পরিবর্তে নিজেদের খেলার উপরেই মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছিল ছেলেদের। বাংলার ছেলেরা মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দেন। বাংলার কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলছিলেন, ”একই মাঠে একই দিনে তিনটে করে খেলা হচ্ছে। এভাবে কি সম্ভব? সন্তোষ ট্রফির খেলাগুলো যে মাঠে দেওয়া হচ্ছে, সেই সব মাঠে খেলে উন্নতি কিছু হবে না, এটুকু বলতে পারি।”